পদবীর সাথে দেখা হবে না
সোনার গয়নায় ভূতের গল্পকে অনুসরণ করছি।
বেড়েই চলেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে গরু-চড়া মাঠের ব্যাসের প্রকাণ্ড হিজল গাছ।
মুণ্ডহীন পা দুলছে।
ওইখানেই পৃথিবীর ভূতগ্রস্থ-হাড়ের
ডিস্কের স্থানচ্যুতি থেকে
ধোঁয়া বেরুচ্ছে।
ধান তোলা শেষ হয়েছে।
নাড়া পোড়ানো
সেই ঘড়িটি চিরদিনের পদবীহীন-
কেবলই একটি নাম।
গল্পের স্বর্ণখনির ডাক
মাংস রক্তহীন ভয়ংকর সুন্দর!
ভূবনের প্রেমে অপ্রেমে
একভাগের স্থলে গয়নার দোকানের ভেতরে
বাতাস বইতে শুরু করলো।
ঠাকুমা
মা
আমি।
আমরা
সবাই এক একটি গয়নার বাক্স।
ঠকঠক করে কাঁপছে তিনকাল।
অঙ্গার
মৃত মানুষের শরীরে জড়ানো
সাদা রোদ।
দিন এগোচ্ছে..
উঠে বসলো মা।
ঝমঝম করে আগুনের নুপুর বাজছে।
শ্মশান যাত্রীরা মৃত্যুর সমর দৃশ্যের মধ্য দিয়ে নাচানাচি করছে।
অঙ্গার হয়ে গেলো আমার অভিমত।
মানোয়ার হোশেন
সকাল থেকে স্বপ্নের পোষ না মানা
মেঘে ঢেকে গেলো যিশুর যন্ত্রণাভোগ।
এঁটেল মাটির ওপর কোদাল চালাচ্ছেন
মানোয়ার হোশেন সিরিজের গল্পগুলো।
দুঃখভাঙা পাহাড়ের ঢালে অগুণতি আঙুরবাগান।
গাছপালার সংসারের সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর হাতের চকখড়ি থেকে বহুজাতিক কোম্পানির শ্যাম্পেইন-এর ফেনায় ফেনায়
গল্পগুলো প্রত্যেকেই
এক একজন নিভৃতচারী মানোয়ার হোশেন।
শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস– মালদা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।