ফেরা
জং ধরে পরে আছে তালা চাবি। হারাবার পর খোলা হয়নি ঘর-বহুদিন। দরজার ওপারে তুমি, অন্ধকার ভালোবেসে বসে আছো চুপ। এপাশে কেউ ছিল কিনা জানতে চাওনি।
এপাশ ওপাশ নিথর- কলিংবেলের মুখোমুখি দুটি ছায়া হারিয়েছে ভাষা। ভুলেছে মুঠোফোন রিং- কলার বাটনে আলতো ছুঁয়ে কেউ বলেনি, আসছো তুমি?
মাঝ রাতে বাড়ি ফিরবার পর অজুহাত লুকিয়ে হাতে দেয়নি ক্যাটবেরি চকলেট। চকলেট ঘ্রাণে মুহুর্মুহু চারিপাশ আয়রন ফ্লেভারে ঢুকে গেছে ডিপ ফ্রিজ- সমান্তরাল সম্পর্ক নিয়েছে ইউটার্ন, ইস্ত্রি করা কাফনে গুছিয়ে নিয়েছে পুরোনা রুমাল।
নাগরিক
ডিমভাজি- ব্যাচেলর সন্ধ্যা, ঘুমহীন রাত- চাঁদের সঙ্গে আলাপ। ক্ষুধার্ত জোসনা বিলাস, শৈশব গন্ধ- স্মৃতিময় মায়ের উঠোন, মন যায় দূর আলপথ।
সূর্য না দেখা নাগরিক ভোর, ডাস্টবিনে বিষণ্ণ কাক- ক্লান্তির কাভার্ড ভ্যানে ভরায় শহুরে জঞ্জাল। মুঠোফোন অ্যালার্ম- বেলা বারোটা, ফ্রিজ-আপ- ক্লাস ফাঁকি দেওয়া গ্রাম্য ছেলে। কাঁথা বালিশে প্যাকেটিং- ঝিমানো শরীর অ্যালকোহল অন্ধকারে খোঁজে আশ্রয় প্রতিদিন।
ফুডপান্ডার অর্ডার- কেএফসি কিংবা এফএফসি, গলাকাটা খাবার, বদ হজমের গল্প- দৈনন্দিন চিত্রকলায় বিমূর্ত শিল্প পিতামহের আরাধনা করে। বেমালুম ভুলে থাকা প্রেমিকা- বেসনের মতো পরিত্যক্ত, পুড়িয়ে যায় সমূহ বেকার মুহূর্ত।
একফালি তরমুজ
তরমুজ ও মানুষ- পাশাপাশি শুয়ে আয়ুরেখা। দুভাগ করলে বিভাজিত জন মৃত্যুদূত। লাল-কালো মিশ্রণে অদ্ভুত রশ্মি- ভৌগলিক সীমারেখা ছুঁয়ে কাঁটাতার ঝোলে।
বুলেট ও পাখি- বিচির অঙ্কুরোদগম স্বমূলে পুঁজির চুম্বন। ক্রাকআউট ভোর- নিষ্পাপ চাহনি, শুদ্ধতার স্নান ঢলে পড়ে অস্তমিত সূর্যে।