ফেরেশতা
অনেকবছর ভালো না বাসতে বাসতে ভালোবাসা ভুলে গেছি।
যেমন—তুমি হারতে হারতে জিতে গেছো,
আমি জিততে জিততে হেরে গেছি।
কাগজের নৌকোর ঘর, স্রোতঃস্বতী ধ’রে ত্রিযামা-
শিখণ্ডী ঢেউ নাঁচে বুক বরাবর
আবারও হারতে যাওয়ার নামতা পড়ি
জীবন দ্যু চুঁইয়ে নামে বৃষ্টি বৃষ্টি খেলা
মৃত্যুর নাক জামাকাপড় পরে পাশ ফিরে শোয়
এমন মরুৎফুল, কবরের পাশে বড় হয়
অনেকবছর বড় হয় কথা না বলে।
তোমাকে পড়তে বসে
যোগব্যায়াম শেষে জানালা ধরে বসলাম
কবিতার মারপ্যাঁচ ধরতে পাঠ করি—
সন্ধ্যার ফুল
ডানা খুলে বসে থাকে
ব্যাকুলতা
ঘুম
নাম রেখে নিজের বিয়োগচিহ্ন দেখি
পালানোর কোন তাড়া নেই
আড়াল খুঁজতে বসিনি আগের মতো
জমানো চায়ের বায়না হারিয়ে ফেলেছি।
উপলব্ধি
কোথাও একটা চোখ নেই
যেখানে রাখি অন্ধ আঙুল—
অনু
দীর্ঘমেয়াদি চাষাবাদ শেষে জল ভরতে ভুলে গেলাম
সমন্ধে যদিও তুমি নদী, টিউবওয়েল থেকেও স্বচ্ছ সেখানটাতে..
বেয়ে চলে ভুল শব্দেরা নিখুঁত অভিনয়ে যেনো;
তুমি তাই দিয়ে দাও,
আঙুলের মাপকাঠিতে দিয়ে দাও কাঁচের দেয়াল
ভাঙতে গেলে বন্যায় ভেস্তে যাবে গোটা সংসার!
আমাদের পায়ে হেঁটে চলে স্লিপারের দুঃখ
কাঁচের চুড়ি, লাল চুড়ি পকেটে ভরে রাখি।
বোহেমিয়ান হওয়ার মতো মনে করি পাহাড়—সমুদ্রে যাব
আসলে রাত নেমে এলে সকল চোখ চাপা প’রে অন্যচোখে!