একুশ কী শুধু উৎসব এখন
মা কে গুনগুন করে গান গাইতে শুনেছি
বাবাকে দেখেছি একতারা বাজাতে –
ফাল্গুন মাসে,খুব ভোরে মা তার রেডিও তে
গান শুনতেন আর কেমন উদাসীন হয়ে জানালায়
চোখ রেখে তাকিয়ে থাকতো শূন্যে!
কালো ব্যাচ বুকে লাগিয়ে বড় ভাইকে দেখেছি
মিছিলে যেতে,
পতাকার সাথে একটা কালো পতাকা,
কেমন এক ধূসর বিষন্ন ফাল্গুনদিন-
হাজারও প্রশ্ন মনে যখন মাকে জিজ্ঞেস করি
সেদিন মা বলেছিলো আজ ভাষা দিবস-
বাবা সেদিন বুঝিয়েছিলো মায়ের ভাষার গল্প।
এ যেন গল্প হয়ে গেছে,
এ যেন একটি দিবস হয়ে গেছে –
একদিন ঠিক যত্ন দিই ভাষায়,
তারচেয়েও বেশি যত্ন নেই পোশাকে –
উদযাপনে, উৎসবে।
সবাই ভুলে গেলেও ঐ শহিদ মিনারের পাদদেশে,
রাজপথে, ঢাকা মেডিকেলের সামনে তাজা রক্ত তকতকে আছে,তাই তো চিলগুলো ব্যবচ্ছেদ করে,
ওরা দেখতে পায় রক্তে লাল হওয়া পলাশ,কৃষ্ণচূড়া আর ভাষা শহিদের লাশের স্তূপ শুধু ভুলে যায় মানুষ-