নৈশকালীন নিরাময় রক্তের স্বাদ জানে
পাখিরা হলুদ পোশাক পরলেই আয়নাটি সন্ন্যাসীর কৌপিন হয়ে যায়
কল ঘর থেকে ফিরে এসে ধানের অঙ্কুর ভাঙে অশীতিপর ক্লিওপেট্রা ,পুরুষ মানুষকে দেখে সম্প্রদান চিহ্নের নব সিদ্ধি কামনা নিয়ে জেগে আছে কৌশিকী পূর্ণিমার পরেও,
নারীটি বড়ো বাতিকগ্রস্ত নিজের ঠোঁট বারবার ধুয়ে খায় অভিমানী চুম্বনের স্বাদ , লিপস্টিকে জরাগ্রস্ত ব্যাধি দেখা দিল প্রথম সহবাসের অব্যবহতি পরে , লাল রং সব বিষাদ ক্ষেত্রফলের এক একটি বাহু , আমি একটি নর্তকীর আয়ু খুঁজে বেড়াচ্ছি
নীলু তারারা নেমে আসে এই উদ্দাম বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা ধরে, আমি তাদের বৈধ শরীরের সাদা খাতায় হাঁটতে দিয়েছি মৃতপ্রায় শালবৃক্ষের আঠাকে
নারীর বৃদ্ধাঙ্গুলে একটিও চোখ থাকে না , আমি তাকে নৈশকালীন শিরাপথে বসিয়ে রেখেছি নেশা ঘড়ির মতো
সে আমাকে ছুঁড়ে দিচ্ছে সবুজ চা বনের ভেতর নাইন এমএম , মৃত্যু রঙের পানীয় গুলিয়ে খায় চা পাতায়….
সূর্য উদয় কালের আগে আমাদের চলে যেতে হবে ওই উত্তপ্ত হাড় বিছানো মরু ক্ষেত্রের উপর দিয়ে
যেখানে উষ্ণীষ অপেক্ষারত প্রহর, প্রহরী বারটি ঘোড়া ও উলঙ্গ ঈশ্বর থাকেন
আমরা সকলেই অনন্ত শ্রীহীন উৎসমুখে কৈলাসগামী
সরলবর্গীয় নাভি তল ও ছায়াবৎ ঈশ্বরী
সরল বর্গীয় পোশাকের তলপেটে সর্বদা দুটো গলিত চাঁদের পায়ের ছাপ থাকে , আমি শুধু মৃত গাছের নিচে বসে ধ্রুবতারার হেরে যাওয়ার কথা ভাবি
আচার্য তিনি আমি যাকে ফেলে এসেছিলাম নির্জন ইছামতি নদীর তীরে, নৌকাটি পুরুষ লিঙ্গের
আকুন্দ ফুল প্রিয় বলে আমি কিছু আকন্দের মালা রাখি মহামতির গলায় , ঈশ্বরী কখনো দাতব্য ছায়া তলে বসে সাংখ্যমান পড়ছে না
কম্পাঙ্ক হীন মৃত গাছের ডগায় এমন দীর্ঘতর ছায়া থাকে আমি হাঁটতে হাঁটতে শহরের কাছ থেকে ঘুরে গিয়ে আবার সুবর্ণরেখার তটে দাঁড়িয়ে শুক্লপক্ষের নাভিতল হয়ে যাই
ঈশ্বরের বিকৃতমুখ নিয়ে আমি চোখ থেকে স্নায়ুপথ ধরে এক অদৃষ্ট ধ্যানমগ্ন মহীয়সীর কাছে গুরু মন্ত্র শিক্ষা নিলাম
তিনি ত্যাগের মন্ত্র শেখালেন অথচ আমি তাকেই পুড়িয়ে দিলাম শুকনো পাতা দিয়ে , সোনা ও ভস্ম ছায়াবৎ মিশিয়ে
তিনি হেসে বললেল অঘোষের কথা …….
আয়নায় রাখতে চেয়েছি তার প্রস্তরীভূত বুক
তিনি চলে যাচ্ছেন মহামায়ার লোকে , আমি কার্পণ্য ফেলতে পারিনি ভব পাহাড়ের শিথিল সঙ্গম
অপার্থিব রাজ্যটি ক্রমশ শিথিল করতেই এক অদৃশ্য শৃংখল মুক্ত করলো এ বন্ধন , হে প্রদীপ শিখা , ব্রহ্মা হয়ে যাও
চিরহরিৎ জীবাশ্ম ও তাহসান নুর
দুটি অপ্রাকৃত মানুষকে দেখছি ঠিক আমারই মতো ,
আয়নার ভেতর আমারও সহস্ত্র বছর আগে মৃত্যু হয়েছিল পাখির মতো , আমি মৃতপ্রায় আয়ুর শিরদাঁড়ায় নিকোটিনের দ্রবণ রাখি
আমি এক বাল্মিকী পুত্রীর ছায়া ভস্ম মেখে উদ্বাস্তু মরুদ্যানে মিলে রাখি গন্ধরাজ , অসুস্থ নৌকাটির বিকলাঙ্গ ছায়া
মিশরীয় নারীটির পিঠে যারা জরায়ু চিহ্ন রাখে তাদের ছায়া মেঘে খাই আমি, আমার কোন বিষ দাঁত নেই স্তনের পিঠে
মিশরের নারীদের স্থানাঙ্ক জ্যামিতি দুটি ঋণাত্মক ছায়াতল
পোশাকের নির্মোচনের কোনো শব্দ থাকে না
আয়নায় সব অসুখ ক্রমশ সংক্রমিত করে দেহের প্রতিটি প্রত্যঙ্গ নতুন রতিক্রিয়ায় যেত লোমশ রকমের পুরুষ
শুধু অসুখ জানে বিস্তার নীরবে হলেই একটি চিরহরিৎ বৃক্ষের পরিণত হয় রডোডেনড্রনের কয়লা জীবাশ্ম
দামি তালপাতায় ভিজিয়ে খাই আমি তবে কোন রমণীর দেহাবশেষ , তর্পণ করি এই ব্রাহ্ম জ্ঞান
ঈশ্বরী চৈতন্য দিয়ে যাও এই বৃক্ষের তলায়, তাহসান নূর এসো হাঁটতে যাই অমরনাথ ত্রিকুট ধামে
নিমাই জানা- রুইনান , সবং , পশ্চিম মেদিনীপুর , পশ্চিমবঙ্গ ভারত। জন্ম ২৪ শে জুন ১৯৮৪। বাবা সুধীর জানা , মা স্বর্গীয়া দুর্গা রানী জানা।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ– ছায়ার মূলরোম ও নির্জন পুরুষ অসুখ ।