একা এবং ঈশ্বর
রোজ—একা থাকার তালিম করছি
ইনবক্সে হ্যালো বলছি না
লাইক-কমেন্ট, হোয়াটস অ্যাপ
ইমো-টিমু কিচ্ছু করছি না
কাউকে ট্যাগ দিচ্ছি না—নিচ্ছিও না।
(তথাকথিত) নিকটজনেরা বলছেন—তুই
একটা পাষাণ, আত্মহংকারী আর নির্বোধ।
আমি জানি, এরা পরস্পরকে তুমুল পছন্দ করে—
চুমু খায়—আলিঙ্গন করে আর মরে পড়ে থাকে
একে অন্যের ভেতরে।
দিনের পর দিন এই লোকগুলোই
ভালোবেসে কিংবা হিংসা করে আমাকে
একা করে রাখছে—যেন একা এবং ঈশ্বর।
অস্তিত্ব
ভাবো—পৃথিবী মরে পড়ে আছে
তুমি রান্না করছো চাঁদ
সুস্বাদু বয়ানে।
বুবলি ঘুমোচ্ছে সমান্তরাল।
মিটিমিটি হাসছে চুলোটা
আর লাকড়িগুলো—
আমায় ভাবছে স্বজাতি।
দিক্বিদিক ছুটে-চলা একটা গন্ধমাত্র
তোমরা ভালোবেসে যার নাম দিয়েছো পৃথিবী।
ব্রেকআপ
অতি সাধারণ বণিক আমি—পৃথিবীতে
সময় বেচতে এসে ভুলবশত বেচে দিলাম তোমাকে
আমি জানি, অতীত একটা মরা সমুদ্র—
আর তুমি এমনই এক মৃত্যুময়ী শ্মশান
আমায় খুন করেও নিজেকে খুনী ভাবছো না
অথচ আমি মরি নাই—শুধু চলে গেছি
মৃত্যুর চোখেমুখে রঙফুল ছিটিয়ে ছিটিয়ে…
(তথাকথিত) নিকটজনেরা প্রায়ই একটা প্রশ্ন আমায় করে। এখন আর আগের মত লেখছেন না কেন? প্রশ্নটাতে আমি খুব বিব্রত হই। তাদের বলতে সাহস হয় না, ফেসবুকে না লেখা মানেই একজন লেখকের লেখক সত্ত্বার মৃত্যু ধরে নেওয়াটা রীতিমত পাপ। পড়ুন, আপনার প্রভূর নামে।