কুয়াশা প্রহর
আসন্ন শীতে কুয়াশা হয়ে যাবো; শিরা উপশিরায়
নিশিথের চাঞ্চল্য মেখে-
খুঁজবো দূরতম নক্ষত্রের ইশারা !
ফাঁকে ফাঁকে তুষারের দীর্ঘশ্বাস অবাক কথা কয়ে যাবে
নির্লিপ্ত সময়ের কানে।
কান পেতে শোন;
নিজের সাথে একা একা হয়ে যাচ্ছে অনেক কথা
তারপরও বহুকথা জেগে আছে ঐ নির্জন মৃত্যুর আড়ালে!
বিষন্ন সময়
এতো আর কিছু নয়;
আমার শরীর মিসে আছে দেবতার নামে মানুষের কান্নায়
বিষন্ন সময়ের নগ্নতা
হাত তুলে বলে, কলহ করে কে?
ঈশ্বরের নামে বলছি, তারা অচেনা!
আমরা তাদের নাম পরিচয় জানি না।
দহনের কাল
নাবিক, ঠিক ঠিক জানো তো, কোন তিথিতে কলহ?
বাণিজ্য সূত্র, জলের মন্ত্র?
নাকি প্রচীন চিত্রের পথ ভুলে খুঁজে ফেরো
শ্যা্ওলা ঢাকা সেই দেয়াল- যেখানে পরশ পাথর ঝিলিক দিলে
রক্তের কণিকায় ভেসে উঠে দহনের কাল!
সম্পর্কগুলো অবাক হয়ে- তাকিয়ে দেখে,
নেশাতুর সময় কিভাবে বয়ে যায়
বেসামাল পূর্ণিমায়।
একসঙ্গে অসংখ্য দুঃখ
সোনা রুপা কাহিনি- বেশ তো হলো
তার ফাঁকে মহাজন-এক দঙ্গল
কলহো শেষে, রকমারি বেশে
ভাসিয়ে দিয়েছে অহমিকা মন।
ডাক হরকরা
জানে ভুল ঠিকানা
আকুলিবিকুলি বিরহ প্রহর
ভিড় করে, জমে উঠে থৈ থৈ জলে
তুমি কি সে কাহিনি লিখ, হরকরা বেশে?
আশ্চর্য সে জলে মুখ দেখে রুপাঞ্জলি- চাঁদের তিথি!
অনন্ত উজ্জ্বল-কবি ও অনুবাদক। জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঝিনাইদহে।
প্রকাশিত বই : মোট প্রকাশিত বই ৬টি। ছায়া নীরবতা (কবিতা, ২০১৪), অনুবাদ গ্রন্থ- পোল্যান্ডের কবি কামিল নরভিদের কবিতা ( অনুবাদ, ২০১৫), অস্ট্রিয়ার কবি গেওরগ ট্রাকলের কবিতা ( অনুবাদ,২০১৬), পোল্যান্ডের রূপকথা ( অনুবাদ, ২০১৮), পাতাহীন বৃক্ষ অথবা কালো গাছ-কঙ্কাল, পোল্যান্ডের নোবেল জয়ী কবি ভিসওয়াভা সিম্বোরস্কার’র কবিতা ( অনুবাদ, ২০১৯), মঙ্গোলিয়ান কবি হাদা সেন্দোর কবিতা চাঁদের আলোয় যাযাবর গান (অনুবাদ, ২০২০)।
সম্পাদিত ছোটকাগজ– ঢোলসমুদ্দুর।
তিনি ২০১৭ সালে ‘চতুর্থ আন্তর্জাতিক পোলিশ লিটারেচার ট্রান্সলেটরস কনগ্রেসে’ অংশগ্রহণ করেন। যা পোল্যান্ডের ক্রাকোভ শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। কবি অনন্ত উজ্জ্বল ভ্রমণ করেছেন এশিয়া-ইউরোপের ২০টিরও বেশি দেশ। তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উপপরিচালক হিসেবে ঢাকায় কর্মরত।