জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এখানকার জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু-কিশোর। প্রতিটি সংকটে শিশু-কিশোররাই সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়। জলবায়ু পরিবর্তনও তার ব্যতিক্রম নয়। ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল ইউনিসেফ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বাংলাদেশে ১ কোটি ৯০ লাখ শিশুর জীবন ও ভবিষ্যৎ হুমকিতে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী কাজ করা প্রতিষ্ঠান ’জলবায়ু ও পরিবেশগত সাক্ষরতা অভিযান’ বলছে যে, বিশ্বের প্রতিটি বিদ্যালয়ের অবশ্যই নাগরিক শিক্ষার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে জলবায়ু এবং পরিবেশগত শিক্ষা ব্যবস্থা থাকতে হবে। শিক্ষা হলো জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্ব ও প্রভাব বুঝানোর জন্য একটি সফল কার্যকরী উপায়। শিক্ষা মানুষকে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব বুঝতে এবং সমাধান করতে সহায়তা করে। কিশোর-তরুণদের মধ্যে ’পরিবেশ ও জলবায়ু শিক্ষা’ বৃদ্ধি করতে পারলে এ শিক্ষা তাদের মনোভাব ও প্রয়োজনীয় ইতিবাচক আচরণ পরিবর্তন করবে, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্রবণতাগুলির সাথে শিক্ষার্থীদের খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করবে। আবার অন্যদিকে, পরিবেশ সংরক্ষণে শিক্ষা ও গণসচেতনতার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। দেশটির ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব দিনদিন বেড়ে চলেছে। জনসংখ্যার আধিক্য, অপরিকল্পিত নগরায়ন, বনভূমি উজাড় হয়ে যাওয়া, সুষ্ঠু নদী ব্যবস্থাপনার অভাব, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং মানুষের জ্ঞান ও সচেতনতার ঘাটতির কারণে এই সমস্যা সময়ের সঙ্গে প্রকট হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই প্রতিনিয়ত আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো জাতীয় সমস্যা মোকাবেলার জন্য জ্ঞান-সচেতন ও প্রশিক্ষিত হওয়া খুব জরুরি।
বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন ও তার ক্ষতিকর প্রভাব যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা আরো প্রকটতর হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক শিক্ষার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঠিক ও বাস্তব তথ্য এবং নিয়মিত চর্চা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা থেকে দেশের ক্ষতির মাত্রাকে প্রশমিত করতে পারে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত সমস্যা শিশু-কিশোরদের শিক্ষাকেও প্রভাবিত করতে পারে। খরা বা সাইক্লোনের মতো মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির অর্থ হল এতে আক্রান্ত পরিবারগুলো আরও বেশি দরিদ্র হবে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত পরিবারগুলো যখন ঘরবাড়ি হারাচ্ছে, তখন সেই পরিবারের শিশুরা অর্থ উপার্জনের জন্য কোনো কাজে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন বহু শিশুর বাল্যকাল কেড়ে নিচ্ছে। যাদের বসবাস বাংলাদেশে নদীপথগুলোর পাশে, তাদের ক্ষেত্রে নদী ভাঙন একটি নিয়মিত ব্যাপার। ইউনিসেফের (২০১৯) তথ্যমতে, নিয়মিত সাইক্লোনের ঝুঁকিতে রয়েছে ৪৫ লক্ষের মতো শিশু, যারা সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে। বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত অনেক পরিবার নিজের এলাকায় সর্বস্ব হারিয়ে এক পর্যায়ে কাজের খোঁজে শহরে চলে আসছে। শিশু-কিশোররা জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে শিখতে হবে, জানতে হবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জানাতে হবে। বিশ্ব উষ্ণায়ন, অনিয়মিত জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র হ্রাস—প্রতিনিয়ত ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপদগ্রস্ত পরিবেশের। এর মোকাবিলা করার জন্য পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগ প্রয়োজন। যার জন্য চাই পরিবেশের পাঠ গ্রহণ। চাই, পরিবেশ ও জলবায়ু শিক্ষা। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হবে সচেতনতা সৃষ্টি করা। মূলত কীভাবে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তন ঠেকাতে কী করণীয় সে সম্পর্কে আলোকপাত করতে হবে। শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে আমাদের দেশের পরিবেশ যেমন উন্নত হবে তেমনি জলবায়ু পরিবর্তন থেকে আমরা বাঁচতে পারবো। কীভাবে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায়, কীভাবে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করা যায়, এ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে কীভাবে দূষণ হয়, কেন জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, কী করলে এসব বন্ধ হবে, আগে বিশ্বের পরিস্থিতি কেমন ছিল, এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে কী হতে পারে।
পরিবেশগত শিক্ষা স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমের একটি অংশ হওয়া উচিত, কারণ পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুষণ সম্পর্কে অর্জিত ধারণাগুলো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠার ভিত্তি হিসাবে কাজ করবে। শিশুদের প্রাথমিক স্কুল থেকেই পরিবেশ সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। পরিবেশগত শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হবে শিক্ষার্থীদের পরিবেশ বিষয়ক চিন্তাভাবনার দক্ষতা অর্জন, যা তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং প্রভাবগুলি প্রশমিত করতে তাদের বয়স উপযোগী গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। খুব সাধারণভাবে যদি বলি, শিক্ষার্থীরা ক্লাসচলাকালীন সময় ছাড়া ক্লাস রুমে ও হলে লাইট, ফ্যান এবং কম্পিউটারগুলি বন্ধ করে রাখতে পারবে। প্লাস্টিকের কুফল জেনে প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার করতে এবং স্কুলে হেঁটে বা সাইকেলে করে যাতায়াত করার গুরুত্ব অনুভব করতে পারবে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক থেকে বিভিন্ন ধরনের শিল্প সামগ্রী তৈরি করতে পারবে, যা পৃথিবীকে একই প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলা করতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে। জলবায়ু পরিবর্তন শিক্ষাকে মানসম্মত শিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন, প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন-
- জাতীয় শিক্ষানীতি ও পাঠ্যক্রমে পরিবেশ শিক্ষা, প্রকৃতি ও পরিবেশ সচেতনতা এবং দায়িত্ববোধের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা।
- পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন স্তরে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা। স্কুলের পাঠ্যসূচি ও শিক্ষক প্রশিক্ষণে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা।
- প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা।
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (বিশেষত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নাজুক এলাকাগুলোতে) জীবন-দক্ষতা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করা।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অঙ্গনকে পরিবেশসম্মত রাখতে উদ্বুদ্ধ করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় সকল প্রকার দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
- পরিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা পালনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রণোদনা/সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা।
- শিক্ষার্থীদের বয়স বিবেচনা করে সহজ বাংলায় প্রাঞ্জল ও বোধগম্য ভাষায় প্রয়োজনীয় টেক্সট তৈরী করা।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইকোক্লাব, নেচারক্লাব, গ্রিনক্লাব, গ্রিন ক্যাম্পাস ইত্যাদি আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যবস্থা।
আশার কথা বাংলাদেশের তরুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ-সচেতনতা রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন আমাকে আশাবাদী করেছে। আপনারা যারা পড়ছেন তারাও হয়তো আনন্দিত হবেন। গত ১৩ মার্চ ২০২১ তারিখে বিভিন্ন পত্রিকায় ‘যুব ও জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ প্রসঙ্গ’ শিরোনামে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছিল বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) ও সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ (সিইউএস)। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, সমীক্ষায় দেশের প্রত্যেক বিভাগের ১৮-৩৫ বছর বয়সী ২ হাজার তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করেছিল। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস করতে কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়-
- দেশের ৯৭ শতাংশ তরুণ জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন।
- সচেতন হলেও ৫০ শতাংশ তরুণ জলবায়ু পরিবর্তনকে সমস্যা মনে করে।
- ৩১ শতাংশ তরুণ পরিবেশ সুরক্ষার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন।
- ৭৯ শতাংশ তরুণের মতে, তারা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্পে অংশ নিয়ে কীভাবে এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা যায় তা শিখতে পারে।
- ৭৩ শতাংশ মনে করে, তারা বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং প্রতিবেশীদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করতে পারে।
- ৪৭ শতাংশ বলেছেন তারা যথাযথ পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে তাদের পরিবারের সদস্যসংখ্যা সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন ।
তরুণরা কী কী উদ্যোগ নিতে পারেন এমন মতামত চাওয়া হলে তাদের বেশির ভাগই জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পে অংশ নেয়া, সচেতনতা প্রচার চালানো এবং পরিবেশ সংগঠনে যোগ দিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে, এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীগণ দেশের আর্থ সামাজিকভাবে উন্নত দলভুক্ত শ্রেণির। আমি মনে করি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সক্ষমতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) পঞ্চম প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় বাংলাদেশে প্রায় ২.৭ কোটি লোক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত ক্লাইমেট ভালনারেবল মনিটর অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে প্রতি বছর অতিরিক্ত ছয় লাখ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সামাল দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ বড় ধরনের দুর্যোগে জীবনরক্ষা, উন্নয়ন, অংশগ্রহণ এবং শিশুর সুরক্ষা উন্নততর করার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। শুধু উন্নয়ন হলেই চলবে না। পরিবেশের উন্নয়নও করতে হবে। আমরা চাই উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশটা যেন ’সবুজ ভাবনায়’ থাকে। যতই উন্নতি করি না কেন জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত সমস্যা আমাদের ধ্বংস করে দেবে। আমাদের ‘সবুজ প্রবৃদ্ধির’ কথা ভাবতে হবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করা বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
আমরা যদি শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হই, তাহলে তারা আমাদের ক্ষমা করবে না। এক দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরেক দিকে উষ্ণায়ন, নগরায়ন। পৃথিবীতে একের পর এক বিপদ। এই বিশ্ব সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। কারণ, আমাদের বসবাসযোগ্য পৃথিবী একটাই। প্রতি দিন একটু একটু করে ঘনিয়ে আসা বিপদ থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে পারে আমাদের পরিবেশ সচেতনতা। বিশ্বজুড়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে তাই প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২২ এপ্রিল পালিত হচ্ছে ‘আর্থ ডে’ বা বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। এই বছর এই ধরিত্রী দিবসের একান্ন তম বার্ষিকী উদযাপন। ‘রিস্টোর আওয়ার আর্থ’ থিম দিয়ে জনসাধারণকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, পৃথিবী এখন মহা-সঙ্কটে। বিভিন্ন দিক থেকে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, এবং এর জন্য আমারাই দায়ী। পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পরিবেশ ও জলবায়ুর গুরুত্ব কতখানি। ’আর্থ ডে’ কে আমরা শুধুই উদযাপনের জন্য না রেখে যদি সংকল্প করি, দায়িত্ব গ্রহণ করি ও পরিবর্তনের জন্য কাজ করি তবে আমাদের পৃথিবী পুনরুদ্ধার হবে।
মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন, সমন্বয়ক, গ্রিন ফোর্স ও সম্পাদক, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, পবা।