ব্রেকআপ
অতি সাধারণ বণিক আমি—পৃথিবীতে
সময় বেচতে এসে ভুলবশত বেচে দিলাম তোমাকে
আমি জানি, অতীত একটা মরা সমুদ্র—
আর তুমি এমনই এক মৃত্যুময়ী শ্মশান
আমায় খুন করেও নিজেকে খুনি ভাবছো না
অথচ আমি মরি নাই—শুধু চলে গেছি
মৃত্যুর চোখেমুখে রঙফুল ছিটিয়ে ছিটিয়ে…
নওসিটি এক্সপ্রেস
তখন আমরা ঘুমের তালিম নিচ্ছিলাম
কোনো এক জলসাঘরে
আমাদের ঘুমের আয়োজন করতে গিয়ে
বিব্রতকর নাকডাকা ভঙ্গিতে
নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছিল সেই ঘর ।
আমরা এ উন্মাদ ঘরকে ঘুমের ভেতর গচ্ছা দিয়ে
নও’দের বাড়ির উদ্দেশে পাবনাগামী ট্রেন ধরলাম।
পথমধ্যে আমাদের রুখে দাঁড়ালো একজন
সিল্কি ঘুম—যদিও তার হাসিতে ফুটে পড়ছিল
চন্দনের ঘ্রাণ আর একটা
নও-নও সৌন্দর্য!
দলের কনিষ্ঠ হিসেবে আমার উপর ভার ছিল
সফরটা নির্বিঘ্ন করা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে—আমি
প্রথমেই ট্রেনটির নাম পরিবর্তন করে রাখলাম
নওসিটি-এক্সপ্রেস।
অতঃপর সকলকে আশ্বস্ত করলাম
এই বলে যে—পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়ুক
পৃথিবীর তাবৎ মানুষ ঘুমিয়ে পড়ুক
আমরা ঠিক পৌঁছে যাবো!
সবশেষে ট্রেনটির অট্টহাসির সাথে
আমরাও ফেটে পড়লাম পৃথিবীর নানা
প্রান্তে—যেন প্রত্যেকেই এক-একজন
নওসিটি এক্সপ্রেস!
দ্বৈধব্য
সে এক সুর! অদ্ভূত আঙুলের ইশারা
ভাষা নেই পৃথিবীর চোখে—
কোনো এক অস্থির চোখ।
কী কথা—কে গায়?
ঈশ্বর! বাতিল মাল।
আজিম হিয়া-কবি। প্রকাশিত গ্রন্থ- অন্ধ আতরের ঘ্রাণ(২০১৬) ।