আমাকে কেউ নিচ্ছে না
হাঁটতে গিয়ে দেখি
আমার পা জোড়া আমাকে ফেলে
অচেনা লোকের হয়ে হাঁটছে।
কোনকিছু না ভেবে
হাত দিয়ে হাটার প্রস্তুতি নিচ্ছি
দেখি হাত দুটোও আমার নেই
শিকলে পেছানো দশটি আঙুল
পিয়ানো বাজাচ্ছে।
এভাবে একে একে আমার চোখ, মুখ,
মাথা কিংবা শিরদাঁড়া
সুযোগ বুঝে আমাকে ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
আমি এখন ভীষণ একা
আমাকে কেউ নিচ্ছে না।
শব্দ
কারখানার লোহা পেটানো শব্দ
কবিতায় ভিড় করে।
যারা আগুন আর জলের
সুক্ষ্ম দাগ থেকে বাইরে বেরিয়ে
সাত পাঁচ না ভেবে –শব্দ নয়,
হয়ে উঠতে চাইলো অন্যকিছু।
শ্রমিকেরা জানে না
দিন শেষে তাদের হাতে উঠে আসা সূর্য
প্রত্যহ জন্ম দিয়ে যাচ্ছে সকাল।
আমি কারখানার সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যানেজার
হিসেবের খাতায় প্রতিদিনই
মৃত আর আহত কিছু শব্দের লাশ
পড়ে থাকতে দেখি।
সন্দেহ
কুয়াশায় বাড়ির পথটি প্রায় মুছে গেছে
আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকা গাছটি
নেংটো শিশুর মতো কাঁপছে।
বাড়িজুড়ে গেরিলার মতো অবস্থান নিয়েছে
নিস্তব্ধতা
বউ ছুড়ি শুটকি রান্না করছে
তার গন্ধ নাকে আসছে।
নিবিড় নীরবতা ভেঙে এই আসা
আমাকে সন্দেহে ফেলেছে।
উঠোনে পৌঁছুতেই দেখি
বাঁশের আঁড়ে শুকোতে দেয়া শাড়ি
কুয়াশা মগ্ন হয়ে
আনন্দে বাতাসে নড়ছে।