নয়রসের দুই
১.
হাস্য
ছেলেবেলার অপরাধ, বালকবেলার দাহ,
সারল্যে লুকোন ছিল সে-পাপ হাস্যসহ।
আজ এই সাঁঝে অনুতাপে দগ্ধ।
এক সফল জীবন,নাদেশ্বরমের মতো বাজলেও,
তার সুরের গর্ভে লুকোন প্রায়শ্চিত্তের ঘটম।
গোহপুরমে, মন্দিরগাত্রে
সহসা সকালে পাতা ঝরে,শুষ্কং পত্র,
ভায়োলিনের ছড়নিসৃত, বিষণ্ণ বাদ্যমসহ।
২.
অদ্ভুত
রেখেছ জিজ্ঞাসা, পেয়েছ উত্তর,
বিজ্ঞানই ঈশ্বর।
কীভাবে শুরুয়াত,বীণার
মন্দ্র আলাপ!কোন্ গ্রহের
অন্দরে বরষার ভিল্লুপুরম।
সকল নির্মিতিই হিরণ্ময়।
সূর্যাস্তের লাল,
পাখি-উড়ানের স্বরলিপি,
ধবলবনে সবুজ বৃষ্টিপাত।
সাগরতীরে অবিন্যস্ত কেশরাশি,
অসুখের ললাট।মোহিনী নির্জনে
গোছায়,চুলের মোহিনীঅট্টম।
জলের ভেতরে বাজে সহস্র মৃদঙ্গম।
বাড়ির পাশে আরশিনগর
১.
লোকটাক হৃদের তীরে দাঁড়িয়ে
মেইতি যুবতী,আমার দিকে তার
ছোট্ট, অথচ,ভালোবাসার আলোয় ভরা
চোখ ছুঁড়ে বলল,এস,
আজ তুমি স্বাগত,আমার বাড়ি।
আমার বাড়ির কোনো সীমানা নেই;
অন্তহীন তার ভেসে যাওয়া।
রাতের চাঁদের নীচে সে যদি দক্ষিণে,
সকালে,পশ্চিমদিকে তার সূর্য ওঠা।
এই হৃদেই ভাসমান আমার দেশ।
এখানে আমাদের হৃদয় থাকে।
২.
ঝরনা কুড়নো ছেলে,
জল মাখো পাইনের শরীরে।
পাহাড়টিলার গর্ভের এত জল,
বালকের চোখে এসে ছলচ্ছল।
বাতাসে গান পুরে পাঠাচ্ছেন ল্যু মাজাও।
মেঘ,কাঁধে বয়ে নিয়ে এসেছে সেই গান।
জল কুড়নো বালক,তোর চোখ থেকে জল
ছিনিয়ে,গানে দেবেন প্লামের আভা,মাজাও।
আজ ডিলানের জন্মদিন।
গল্ফলিংক থেকে শুভ্র কেশ,
হাতে অবিসংবাদিত গিটার,
টেম্বোরিন মেন কে ভাসিয়ে দিচ্ছেন
মাজাও, জলের গ্রামে,
ঝরনা কুড়নো বালকের ঘুমে।