সুদৃশ্য মিথাইল সাপ ও শ্মশান বন্ধুদের গর্ভাশয়
সুদৃশ্য নবম গহ্বরের মতো আর কোন প্রাচীন গণিতজ্ঞ নেই অনাসক্ত ছায়ার কাছে দাঁড়ালে অসহিষ্ণু ধারালো নক্ষত্রেরা প্রতিদিন রাতেই জলজ হয়ে যাবে ৩.৫৬১ মিলিমিটার ঘূর্ণবাত জলীয় দ্রবণ খাবার পর
মৃত্যুকে বারবার কাগজ ফুলের মতো ভেসে যেতে দেখি এক প্রাচীন হরপ্পা নগরের দিকে , মিথাইল বিষ সাপ নদীর গহ্বর থেকে উঠে আসছে শ্যামাঙ্গী জল মেখে
কখনোই আমার বৃত্তচাপ রেখে আসি না মৃত্যু রঙের শ্মশান বন্ধুদের কাছে ,
আমি এক শীতল অবয়বহীন সরীসৃপের আঠালো দাঁতের ভেতর থেকে আরও গর্ভস্থ গিরিপথ বেয়ে যাওয়ার পর আমি তরল তিস্তা নারীদের মতো পাঞ্চজন্য বাজাই , গর্ভকেশর ফুরিয়ে গেলে সকল নারী রাতে বাঁশি বাজায় অচিন্ত্যের মতো
নৌকাটিকে নিয়ে আসি দুর্বোধ্য সমুদ্র পেরিয়ে যাব বলে , উঠোনের পাশে লাল লাল ধ্রুবতারা রঙের নয়ন তারা পুষে রেখেছি আমার বিছানার তলায় , ওডিসেফ শাঁখ বেজে উঠলে সব অক্ষম পুরুষেরা বিসর্গ চিহ্ন মেখে নেয় অবৈধ নিম গাছের পাতলা তরল মেখে ,
পান্থপাদপ রঙের এক জলজ মূর্তি ভেসে ওঠে আমি তার নুপুরের ধ্বনি শোনার পর আর্ত চিৎকারে উঠে পড়ি হিমাচল বিষয়ক কোন কুয়াশাময় অভ্যন্তরীণ উপসর্গ অন্ধকারে ,
আমার হৃদপিণ্ডে বেজে ওঠে শঙ্খচূড়, তুলসী পাতা নিয়ে প্রতিদিন রাতের নিমগ্ন তিস্তা থেকে ঘুরে আসি ধীরে ধীরে ,
আমরা ঈশ্বরের দিকে দুটো হাত জড়ো করে মৈথুন পর্বতের সাংকেতিক রূপটি জলে ভিজিয়ে রাখি অন্তঃস্থ বর্ণ মানুষদের জন্য
আমার অশৌচ আগুন ঘরের অদ্রিজা নারীরা ঈশ্বরকে লাল রং পরিয়ে অনুঃস্বর ধ্রুপদ নৃত্য সভায় নিয়ে যায় ভাগবত পুরাণের দিব্য বিমানে , পৃথিবীর গর্ভকেশর ছিঁড়ে খাচ্ছে অখিল বন্ধু পুরোহিত স্বয়ংবর যাওয়ার আগে
সুদর্শন চক্র ও ক্লিনিডিপামাইন শরীরের √৫ দৈর্ঘ্য
চন্দ্র আগুনের সমকৌণিক কৃষিত মরুদ্যান ছুঁয়ে আসা লাল সাপেরা মিশরীয় ধনুর্ধর হয়ে ব্রহ্মানি নারীদের নীল পোশাক পরিয়ে দিচ্ছে উত্তরায়ণ অসুখের গলায়
কোন মৃত্যু যৌগিক রাশির মতো নয় , কোনো এক ক্ষতময় জনপদে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার আগে ধানবীজ রেখে আসে অখন্ড ব্রহ্মের তৃতীয় বৃহত্তম হস্তরেখার সুদর্শন চক্রের পুরোহিতেরা
সব নন্দন পুরুষ জানে মধ্যরেখার রক্তাক্ত হিমশৈল পেরিয়ে আরও চতুর্থ ব্রহ্মাণ্ডের কাছে এক দরজা খোলা বাদাম রঙের ঈশ্বর বসে থাকেন , শুধু পূর্ণিমা তিথিতে একটা লাল রাস্তার দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়
আমি শুধু মৎস্যজীবী রঙের অবতারের ভেতরে থেকে √৫ দৈর্ঘ্যের অসুখকে ভায়াগ্রা আর ক্লিনিডিপামাইন খাইয়ে চলি , আমার অদৃশ্য মাথার অন্ধকারে জরায়ুহীন এক জলাশয় রোপন করি বাবার শরীরের জন্য
হিমোফিলিয়ানেরা গম গাছের মতো সরলবর্গীয় ঋতুর দেশ নামিয়ে আনে সিস্টাইটিস অন্ধকারের গুঁড়ো গুঁড়ো রক্তাক্ত রজঃচক্রের দানা খাওয়ার পর
আমি মারিচের তৃতীয় পঞ্চম বর্ণিত নারীদের সাথে অযৌন সহবাসে লিপ্ত হয়েছি তৃতীয় মিথিলার শরীর ভেবে, বারবার প্রখরহীন খনিজ গর্তের কাছে তাদের মায়াচর জেগে ওঠে
এখানে মৃত্যু নেই , থকথকে প্রোজেস্টেরন গড়িয়ে পড়ে মৃত্যু রঙের কোন পেন্ডুলাম বরাবর , পঞ্চম বর্গের অধাতব অযোজন গনিতজ্ঞেরা শুধু সূচকের গণিতে বারবার ধারালো তরোয়াল নিয়ে নিঃশব্দ সুমন মৃৎশিল্পীর কাছে চলে যায় নেশাখোরের মতো আঙ্গুল চিবিয়ে খাবে বলে
সীতার অন্ধকারের মতো অক্ষরময় প্রোটনীয় পুরুষেরা কালিদহচড়ায় মেলে রাখে একটি নীরাভরণ শরীরের চতুর্দশ অনুখণ্ডক , একটি দোতারা ফুলের চাষাবাদ শেষে নিমগ্ন ঈশ্বরী নিজেই তার প্রত্নশরীর ক্ষয়ে যেতে দেখে
চাঁদ প্রতিদিন দ্বিধাবিভক্ত দুটো স্তনে রেখে নোনামাধবচকের জন্য পুংলিঙ্গ হয়ে যায় , নদীতে ১৫ দৈর্ঘ্যের গর্ভনিরোধক ফল ভেসে আসে উষ্ণ গোমুখ থেকে
সুনন্দন চৌধুরী হেক্সাগোনাল পাতাবাহারের চাষ করছেন
সুনন্দন চৌধুরীর মতো আমিও অদৃশ্য মধ্যরেখায় নেমে মণিকর্ণিকার পরা শরীরের তেরশো ষাটটি অপরাজিতার ডগা নিয়ে হোমাগ্নি মন্ত্র উচ্চারণ করলাম তৃতীয় বর্গের তাম্রকুণ্ড শীতল বরফ কুচি নিয়ে
জলসেচনের পর কাশ্যপ প্রতিদিন বিষুবরেখায় এসে নীল দেবদারুর মতো আদিভৌতিক হয়ে যাচ্ছে নীল পরিচ্ছদ রাত্রির অভুক্ত নক্ষত্রদের রশ্মিময় ধারালো অস্ত্র পাঠানোর পর
এক একটা কালপুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে মধ্যরাত অভেদের কার্বনিক ঠোঁট গুলোকে রক্তাক্ত দাঁত দিয়ে ভক্ষণ করার পর ,
আমাদের শুধু বিসর্গ গ্রন্থির এক ছায়াময় অদ্ভুত লিথিয়াম জেগে ওঠে ডোরাকাটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে বলে , শীঘ্রপতন রাতে শুধু রাত্রির দৈর্ঘ্য বেড়ে যায় বিষাক্ত ফুল খাবার পর
প্রোজেস্টেরন গড়িয়ে পড়ে আমার মৃত্যু রঙের পেন্ডুলামের শরীর থেকে পঞ্চম বর্গের অধাতব যোজনে হেসে ওঠে মৃত মা
ছায়ারেখাগুলো আজ শিখন্ডীর মতো বানপ্রস্থ অসুখে ভোগার পর গণিতজ্ঞ হয়ে যাবে , আমাদের আর কোন জারজ ফুলের গন্ধ থাকবে না ঈশ্বরের চতুর্থ অবতারের মতো
নগ্নজিতির মতো আমি গোলাপি শ্বাপদদের নিয়ে জানালার কাছে গৃহপালিত চাঁদের অসুখ নির্ণয় করে যাই এক পূর্ণ দুই তৃতীয়াংশ চন্দ্রমল্লিকা চারাগাছ রোপনের পর
হেক্সাগোনাল পাতাবাহারের মতো নিশাচর মহাশূন্যের শরীরের ভেতর যে রসায়ন ঘটে যায় তার কোন এক অদৃশ্য শরীরে লাল জবাফুলের মতো নিশাচর বিজারণ ধর্ম থাকে না
বাবা প্রতিদিন রাতে উঠে নিষিদ্ধ মূর্ধন্য চিহ্নটিকে খেয়ে ফেলে কালো কালো গলার কাছে একটি ডোরাকাটা পৃথিবী লুকিয়ে থাকে ভয়ার্ত পুরুষদের সিলিকন স্তনবৃন্তের জন্য ,
ছত্রাক পুরুষেরা নৌকা চালিয়ে সেগুন কাঠের আসবাব পেতে রাখে শ্মশান জলধীর কাছে ,
নিমাই জানার মতো এক সদৃশ রতীময় পুরুষ প্রতিদিন বিছানা থেকে উঠে সারা দেয়াল বেয়ে একটি মৃতদেহ পুড়িয়ে ফিরে আসে ব্রহ্মবেলায় , দুটো শুক্রাচার্যের অশ্বগন্ধা ঋষিরাও কামধেনুর দিকে ছুটে যাচ্ছে ভগাঙ্কুর স্থানাঙ্ক ছুঁয়ে দেবে বলে , আমরা উপবৃত্তের চাষ করছি আজকাল