অ্যাপ্রোচ
পৃথিবীর তলানিতে—
আমিই যেন একবিন্দু গোলাপি মদ!
সব ট্যারা চোখ
উপর্যুপরি ধর্ষন করছে
আর দূরে—মতিভ্রম
টালমাটাল আত্মাদের ছায়া
ঐ চোখগুলোই আমার দাম্ভিকতা,
মাংসপিন্ডের উত্তেজনা আর ভেতরে-বাইরে
দখলদারিত্বের গোপন কামনা—উড়ক্কু হাওয়া।
সমসময়ে ওরা আমাকে ঈশ্বর জ্ঞান করে।
এবং ঈশ্বর—
হায় ঈশ্বর! তুমি কি আমায় সমান্তরাল ভাবছো?
পার্ক
তখন আমি ঘাস কাটছিলাম। খুব কাছেই
বেঞ্চিতে বসে তোমরা দুজন
আলিঙ্গনাবদ্ধ—চুমো খাচ্ছিলে।
অদূরে ব্যায়াম করছিল একজন বৃদ্ধ।
আমরা সকলে পরস্পরকে দেখছিলাম।
তারও অনেক বছর পর—
যখন বৃদ্ধ লোকটি বেঁচে নেই আর
লোকটি ভাবছে—এটা একটা কবরস্থান।
তোমরা ধরে নিয়েছ এটা ব্যায়ামাগারই হবে।
আমি ঘাস কাটছি না এবং আমরা কেউ কাউকে
দেখতে পাচ্ছি না আর!
আমিও তুমুল নেচে ওঠবো
একদিন সব ফুরিয়ে যাবে…
রূপ-রস-গন্ধ, কৈতরের মত তোমার ওড়াওড়ি।
জীবন তোমাকে ঝুলিয়ে রাখবে—
ফর্সা আঙুরের মত
মৃত্যু তোমাকে লুফে নেবে
নোংরা প্যাথেড্রিন।
সব ফুরিয়ে যাবে…
চাঁদ-সুরুজ-গ্রহ-নক্ষত্র
তুমিও ফুরোবে একদিন।
আর কতো খেলবে এ রঙখেলা
রঙই তোমাকে নাচাবে—একদিন
তুমি ওঠে যাবে রঙের আঙুলে
ইচ্ছেমত সে তোমাকে ছিটোবে।
গ্যালাক্সীর কোন এক কোণে
বিব্রত শরীর আমার ছুঁয়ে যাবে
ছিটানো সে একফোটা তুমি
আমি ইচ্ছেমতো ভালোবাসবো
তোমাকে আর সে-সব রঙকে—
যাদের আঙুলে তুমি নেচে চলেছো
যারা তোমাকে ছিটিয়েছে আমার
শরীরে…
অতঃপর আমিও তুমুল নেচে ওঠবো
তোমার শরীরে।