সেদিন সারাটা দিন আব্বা ঝিম ধরে বসে রইলেন। তাকে এমন ঝিম ধরে বসে থাকতে এ জীবনে বহুবার দেখেছি আমি। প্রচন্ড রাগী মানুষ আমার আব্বা। সারা জীবন কারণে অকারণে আম্মার সাথে, আমাদের সাথে রাগারাগী করেছেন। অতি তুচ্ছ কারণে তিনি বাসায় লঙ্কাকাণ্ড করেছেন। বেশির ভাগ সময়ই গায়ে হাত তোলা দিয়ে তার রাগ প্রকাশের সমাপ্তি ঘটেছে। তখন তিনি এমন নিশ্চুপ হয়ে যেতেন। কারো সাথে কোনো কথা বলতেন না। টাইম টু টাইম আম্মা টেবিলে ভাত বেড়ে দিয়ে সরে যেতেন। আব্বা নিশ্চুপ এসে খেয়ে আবার ঝিম ধরে বসে থাকতেন, বা শুয়ে থাকতেন অথবা বাসায় নিয়ে আসা অফিসের ফাইল পত্র ঘাটতেন। তাকে কেউ ঘাটাবার সাহস পেত না। তার রাগ নামতে নামতে দুই সপ্তাহও লেগে যেত। তারপর টুকটাক কথা বলার মাধ্যমে আব্বা স্বাভাবিক আচরণে ফিরতেন। অবশ্য আবার দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই তার মেজাজ আবার বিগড়ে যেত। আম্মা কিংবা আমরা দুই ভাই আবার মার খেতাম। আব্বা আবার ঝিম ধরে যেতেন। কিন্তু সেই ঝিম ধরার সাথে আব্বার এই ঝিম ধরার বিস্তর ব্যবধান। সারাজীবন আব্বা ঝিম মেরে যেতেন রাগে কিংবা ক্রোধে। এবার তিনি নিশ্চুপ হয়ে গেছেন ব্যাথা এবং বেদনায়।
আব্বা ভীষণ রাগী আর একরোখা মেজাজের মানুষ ছিলেন। ছিলেন বলছি একারণেই যে তার সেই মেজাজের জোর আর নেই আগের মতন। থাকলে এই মানুষ এইভাবে ভেঙে পরেন? আসলে পৃথিবীর আর সবকিছুর মতই মানুষেরও ক্ষয় হয়। মানুষের শরীর এবং মনও এক সময় ক্ষয়ে যায়। ক্ষয় হয় মানুষের প্রভাব, প্রতিপত্তি এবং অবস্থানেরও। আব্বাও ক্ষয়ে গেছেন। দুদিন আগ পর্যন্তও আমি সেসব খেয়াল করিনি! পরশু রাতে খাবার টেবিলে সবাই চুপচাপ খাচ্ছিলাম আমরা। খাবার টেবিল ছাড়া আর কোথাও আব্বার সাথে বা সামনে কখনো বসার সাহস ছিল না আমাদের। উনি সামনে থাকলে কখনো কোন কথা বলারও প্রয়োজন মনে হয়নি কোনদিন। খাওয়াতে মনযোগ ছিল না আব্বার। অল্প একটু আলু ভর্তার সাথে এক চামচ ডাল ঢেলে নেন ভাতের উপর। তারপর আঙুলে নাড়তে থাকেন। কিছু একটা ভাবছিলেন হয়তো। আম্মা সেই ভাবনায় চিড় ধরান।
একটু মাছ নাও, টেংরা মাছ- বলেই আম্মা একটা মাছ আব্বার পাতে উঠিয়ে দিতে যান। আমি এই দৃশ্যের দিকে তাকাই। দেখি আব্বা তার হাত দিয়ে আম্মার চামচ ধরা হাতখানা ঠেলে সরিয়ে দেন। মুখে বলেন- লাগবে না। তখনই প্রথম আব্বার হাতখানা আমার নজরে আসে। আম্মা তখনো আরও এক চামচ ডাল কিংবা এক টুকরো লেবু নিতে আব্বাকে জোড়াজুড়ি করছিল। সেসব আমি দেখছিলাম না। আমার মন চলে গিয়েছিল আব্বার হাতের রেখায়। আমরা কি তাহলে এভাবেই চোখে দেখি? চোখের সামনে থেকেও অনেক কিছু চোখের আড়ালে থেকে যায় আমাদের? আব্বা যে শারীরিক ভাবে বুড়ো হয়ে উঠেছেন আমি সে অর্থে কখনও খেয়ালই করিনি। আজই প্রথম খেয়াল করলাম, যুবরাজের মত চেহারার আমার আব্বার হাতের চামড়া ঢিলে হয়ে গেছে, কুচকে যাচ্ছে তার হাতের চামড়া। আমি আব্বার মুখের দিকে তাকাই। কাঁচা পাকা দাড়ির ভেতর সবগুলো যেন পেকেই গেছে। আগে এসবের কিছুই খেয়াল করিনি! আব্বাকে আমরা ভয় পেতাম খুব। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া অথবা তিনি নিজে কিছু জিজ্ঞেস না করলে, আমরা সন্তানেরা কখনও সেধে কথা বলতে যেতাম না। আমাদের ভাইয়েদের মুখপাত্র ছিলেন আম্মা। আমাদের যাবতীয় অভাব অভিযোগ কিংবা চাহিদা, আমরা আম্মাকে দিয়ে আব্বার কাছে পেশ করতাম। সেই ভীতু আমিই কীভাবে যেন ক্ষীন কণ্ঠে বলে ফেলি, “আব্বা, নাও একটা মাছ। আরেকটু ভাত”। আব্বা থালা থেকে মুখ তুলে আমার দিকে তাকান। আম্মা তার পাতে ভাত আর মাছ তুলে দেন। আব্বা কোন কথা বলেন না। বাধাও দেন না।
কেবল তাকিয়েই থাকেন। আব্বার মুখটাকে আমার কাছে শিশুর মত অভিমানী মনে হয়। কেন জানি আমার খুব কান্না পেতে থাকে।
নন্দনপুরের এই বাসাটা আমাদের নিজের। প্রায় সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে আব্বা বাসাটা করেছেন বছর পাঁচেক আগে। তখন আব্বাকে মাত্রই বদলি করা হয়েছে পাশের উপজেলায়। আমাদের বাসা থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটার দূরে। তখন আব্বা স্বিদ্ধান্ত নিলেন এখানে বাসা করার। জায়গাটা কেনা ছিল আগেই। বাসা করা হলো।
আমরা নিজেদের নতুন বাসায় এসে স্থির হলাম, আর আব্বার শুরু হলো অস্থিরতা। প্রতিদিন আব্বা খুব সকালে বের হয়ে যেতেন অফিসের জন্য। ফিরতেন অনেক রাতে। সারাদিন অফিসে কাজ শেষ করে রাতে বাসায় ফিরে আবার মাঝ রাত পর্যন্ত জেগে জেগে অফিসের কাজ করতেন। প্রতিদিন একইভাবে। কোনদিন আমি তাকে ক্লান্ত হতে দেখিনি। সেই মানুষটিই যেন হঠাৎ হাঁপিয়ে উঠলেন।
সপ্তাহ দুয়েক আগে একদিন আম্মা আমার রুমে এসে বিছানায় বসলেন। আমি তখন ইন্টারনেটে লেবু গাছটায় কীভাবে সহজে কলম করা যায় সেটা শিখছিলাম। আম্মা বিছানায় বসলেন। কিছুক্ষন চুপচাপ ল্যাপটপের মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর চাপা স্বরে বললেন, একটা কথা বলার ছিল। শুনবি?
কী কথা মা?- মনিটর থেকে চোখ না সরিয়েই আমি জিজ্ঞেস করলাম।
তোর আব্বা বলছিল… আম্মা কথা শেষ করেন না। আমি ভিডিওটা পস করে আম্মার দিকে ঘুরে বসি। জিজ্ঞেস করি, কী বলছিল?
- তোর আব্বা অবসরে আসতে চাচ্ছে।
- কবে?
- কী কবে?
- মানে কবে অবসরে যেতে চাইল আর কবে যাবে?
- গত কিছুদিন ধরেই বলছিল, সে আর পারছে না। বয়স হয়েছে তো। এই বয়সে কাজের এত চাপ! আর ডেইলি দুবেলা জার্নি- তাও তো করছে পাঁচ বছর ধরে…
- মা, আব্বা যদি মনে করেন তিনি অবসরে যাবেন, তাহলে যাবেন। আমাকে বলছ কেন বল তো?
আম্মা আমার একটা হাত তার দুহাতের মুঠিতে পুরে হাত বুলাতে থাকেন। আর বলেন-
তোরা দুই ভাই আমাদের সন্তান। তোরা ছাড়া আর আমাদের কে আছে? আজ প্রায় পয়ত্রিশ বছর ধরে মানুষটা এই চাকরি করে তোদের ভরণপোষণ করছে। সেই চাকরিটা এখন সে আর করতে পারছে না। নিজে থেকে তোদের কিছু বলতেও পারছে না, লজ্জা পাচ্ছে। দ্বিধায় ভুগছে। কথাগুলো বলেই আম্মা কেঁদে ফেলেন।
মুখে আঁচল চাপা দিতে ব্যস্ত হয়ে পরেন তিনি। আম্মার মুখে কথাগুলো শুনে এবং তার এমন ভেঙে পরা দেখে আমি নিজেও যেন ভেঙে পরতে থাকি। আমার কী বলা উচিৎ বুঝে উঠতে পারিনা। আব্বার জন্য আমার ভীষণ মায়া হতে থাকে। সারা জীবন সিংহের মত বেঁচেছেন আমার আব্বা। তার কোনো কাজের জন্য কখনও কাউকে কৈফিয়ত দেননি। নিজে যেটা ভালো মনে করেছেন – করেছেন। সেটা মন্দ কিছু ফল হলেও কেউ তাকে কিছু বলার সাহস পায়নি। আব্বার এমন একরোখা আচরণে কত যে অভিমান হত। অথচ আজ সেই মানুষটার মনের অবস্থা জেনে আমি নিজেকে সামলাতে পারিনা কিছুতেই। তাহলে পরিবর্তন কি এভাবেই আসে? এভাবেই বদলে যায় অবস্থান ? সিংহের কেশরে কিংবা চামড়ায়, অথবা তার থাবাতেও যেমন নেমে আসে নম্রতা, তার অন্তরও বুঝি হয়ে যায় শুভ্র খরগোসের ছানার মত দূর্বল। মায়াবী। কান্না ভীষণ সংক্রামক। আমি দ্রুত লেবু গাছের কলমের ভিডিওটা চালু করে দেই। চোখ যতই ঝাপসা হয়ে আসতে থাকুক, আমি একদৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে থাকি।
আমাদের অনাপত্তিপত্র পেয়ে আব্বার সকল দ্বিধা দূর হয়ে গেল। সব সংকোচ দূরে ঠেলে আব্বা নতুন উদ্দীপনায় দিন শুরু করলেন।
অফিসের প্রক্রিয়াগুলো গুছিয়ে আনতে লাগলেন। কেশর ছেঁটে ফেলে আব্বা মায়া হরিণ হয়ে আমাদের পালে মিষে গেলেন। আব্বার কথাবার্তা, চালচলনে আমূল পরিবর্তন চলে এল। আব্বা সবার সাথে বন্ধুর মত মিশতে লাগলেন। কথায় কথায় হাসতে লাগলেন। আব্বাকে সারাজীবন গম্ভীর আর মেজাজী দেখে অভ্যস্ত আমি। দেখতে তাই কিছুটা বেমানান লাগলেও ব্যাপরটা আমার কাছে খুব আনন্দের মনে হলো। আব্বার এখনকার আচরনে আমি যেন ভুলেই গেলাম মানুষটার আগের রূপ।
ছুটির দিনে আব্বা ব্যাগ ভর্তি বাজার করা শুরু করলেন। প্রায় প্রতিদিনই আম্মাকে কিছু না কিছু স্পেশাল খাবারের আইটেম অর্ডার করতে থাকলেন। আম্মাও সেসব পালন করতে থাকলেন হাসিমুখে। রাতে খাবার টেবিলে প্রতিদিনই আব্বা প্ল্যান করতে থাকলেন অবসরে এসে কী করবেন, কোথায় কোথায় বেড়াতে যাবেন।
“অফিস থেকে অবসরে গেলেও, জীবন থেকে তো অবসরে যাওয়া যায় না তাইনা?” – আব্বা বলেন। আমরা শুনি।
“জীবন থেকে অবসরে যাবার মানে তো মৃত্যু। সেটা যতদিন না আসে ততদিন আসলে কাজেরও শেষ নাই”।– আব্বা বলে যেতে থাকেন, আমরা শুনে যেতে থাকি।
“উঠানের এক পাশে একটা বাগান করব। শাক সবজির বাগান। বারান্দার সামনে দুটা ফুলের গাছ লাগালে কেমন হয়? ধর একটা গন্ধরাজ আরেকটা কাঠগোলাপ।“ মনে মনে আব্বার রুচির প্রশংসা করি আমি। আমরা সবাই মাথা নাড়ি। হাসি হাসি মুখ করে রাখি। আব্বা এবার আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “তোর মাকে নিয়ে এক সাথে হ্বজে যাব”।
“খুব ভালো কথা”- আমি আব্বার দিকে তাকাই।
“শুধু হ্বজে না, হ্বজ থেকে এসে তোর মাকে নিয়ে ঘুরে বেরাব। কক্সবাজার যাব”। – শুনে আম্মা লজ্জা পান। মুচকি করে হাসেন। “ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়িও যাওয়া দরকার। না যেতে যেতে সবার সাথে সম্পর্ক শেষ হবার পথে”। আমরা আবার সবাই একসাথে মাথা নাড়ি। আব্বার কথা তখনও শেষ হয় না। তিনি বলতেই থাকেন, “তবে সবার আগে প্রথম এক মাস টানা ঘুমিয়ে নেব। দিনে একবেলা খাওয়া ছাড়া বিছানা ছাড়ব না”। বলেই আব্বা হাসতে থাকেন। আমাদের খাবার টেবিলে সুখ ছড়িয়ে পরে।
নভেম্বরের এক তারিখ বিকেলে আব্বা শেষ অফিস করে বাসায় ফিরলেন। তার চোখে মুখে স্বস্তি, তৃপ্তির আভাস। তার দু’হাত ভর্তি অনেক কিছু। অফিস থেকে পাওয়া গিফট আইটেম ছাড়াও আসার সময় মাছ মুরগি বাজার করে এনেছেন। আম্মা রাত করে মাটির চুলা জ্বেলে আলুর সাথে সেই মুরগির ঝোল রান্না করলেন। পরম তৃপ্তির খাওয়া দাওয়া শেষ করে অনেক রাত পর্যন্ত আব্বা সবাইকে নিয়ে গল্প করলেন। উপহার পাওয়া জিনিসগুলো খুলে খুলে দেখালেন। তারপর সবাই আমরা ঘুমুতে গেলাম।
পরদিন সকাল সকাল আম্মার কথা শুনে ঘুম ভাঙল আমার। রুমের বাইরে এসে দেখি আম্মা রান্নাঘরের দরজা ধরে দাঁড়ানো, আব্বা উঠোনে। তার হাতে অফিসের হাত ব্যাগ আর ছাতা। পরনে বাইরে যাবার পোশাক। গোসল করে একদম ফিটফাট। পয়ত্রিশ বছরের অভ্যাস হুট করে ভোলা যায় না। আব্বা নিজের ভুল বুঝতে পেরে উঠোনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলেন। আমি চুপচাপ রুমে এসে দরজা ভেজিয়ে দিলাম। সেদিন সারাটা দিন আব্বা ঝিম ধরে বসে থাকলেন।
অফিসের বাইরেও হাজারটা কাজে ব্যস্ত থাকা মানুষটা হঠাৎ করে আবিস্কার করলেন, তার আর ব্যস্ততা বলে কিছু নেই। দিন রাত ছুটোছুটি করে বেড়ানো মানুষটা অনুভব করলেন, কোথাও আর যাবার নেই তার। জগতের সমস্ত তাড়া, তাগাদা সব যেন শেষ হয়ে গেছে।
দুপুরে খেয়ে বিছানায় শুয়েই ঘুমিয়ে পরেছিলাম আমি। আম্মা এসে ঘুম ভাঙালেন। টিনের চালে ছিটে ছিটে বৃষ্টির শব্দ। বাইরে মেঘে অন্ধকার হয়ে আছে। শীত শীত লাগছিল বেশ। আম্মা বললেন, “অমিত, যা তো বাবা, তোর আব্বাকে ধরে ঘরে নিয়ে আয়”।
কথা শুনে আমি অবাক হই। ধরে নিয়ে আসব মানে!
“আব্বা কোথায় গেছে আম্মা?” – আমি জিজ্ঞেস করি।
“বাসার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে একা একা”।
আমি উঠে গেট খুলে বাইরে গেলাম। আমাদের বাসার সামনে একটা সজনে ডাঁটার গাছ আছে। বেশ বড়। আব্বা গাছটার গায়ে হাত রেখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার দাঁড়িয়ে থাকার ভঙ্গিটি দেখে আমার বুকের ভেতরটায় ধ্বক করে ওঠে! মানুষ আবেগ মেখে স্পর্শ করে, হাহাকার নিয়ে তাকায়, কিন্তু কাউকে এমন একরাশ বিষন্নতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে আমি আগে কখনও দেখিনি। কারো দাঁড়াবার ভঙ্গীও যে বুকের ভেতরটা ভেঙ্গেচুরে একাকার করে দেয়- আমি আজ প্রথম জানলাম ।
আম্মা গেট ধরে উৎকণ্ঠা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তার কণ্ঠে আব্বার ঘরে ফেরার তাড়া। সেসব আব্বার কানে পৌছায় না। তিনি নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকেন। আমি আব্বার দিকে হাঁটতে থাকি। বৃষ্টির ঠান্ডা পানিতে শরীর ভিজতে থাকে আমার। চোখ ভিজতে থাকে গরম জলে। আমি জানি, আব্বা যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, ওখানেও নেমেছে ভিন্ন কোনো বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির রঙ এক, রূপ ভিন্ন।
হেমন্ত হাসান-টাঙ্গাইল। প্রকাশিত গ্রন্থঃ কিশোর উপন্যাস বন্ধু বাহাদুর এবং সামাজিক উপন্যাস অনন্ত আগুন।