পচন পাতার ঘ্রাণ
একুশে জৈষ্ঠ্য চোদ্দোশো সাতাশ
সারাদিন তীব্র সূর্য দহনের পর— আকাশে উর্বর মেঘ।
বৃষ্টি হচ্ছে। রোদপোড়া রাস্তায় ধূলো-ধোঁয়া ভাপ— আহা ঘ্রাণ…
ভিজে যাচ্ছে ঝোপঝাড়, ধনচের পাতা, হাঁস…
পৃথিবী ভিজছে— যেভাবে ভেজে বয়ঃসন্ধির সদ্য ঋতুর কিশোরী!
এগারই আষাঢ় চোদ্দোশো সাতাশ
জল শরীরের মেয়েটি রোজ একটি ছোট্ট চড়ুই নিয়ে আসে বাড়ির উঠোনে! হেঁশেলে বসে মায়ের সাথে গল্প করে— আহা! বাকুম বাকুম কবুতর কথা বলে যেন; মনে হয় সারাদিন শুনি।
চড়ুইটি কাছে আসে— গাঢ় ভাব – ভালোবাসা – মাখোমাখো প্রেম; পাখি ও আমার। দিনে দিনে বাড়ে চড়ুয়ের দেহ আর জল শরীরের কথার পরিধি।
অতঃপর মা একদিন— মেয়েটিকে ব্যাটার বৌ ভাবলে, চড়ুইটি তার হৃদয় হয়ে যায়…
বাইশে শ্রাবণ চোদ্দোশো সাতাশ
জল শরীরের মেয়েটি আমাকে একদিন একটি জলমগ্ন মৃত্যু দেবে—
নিয়ত জলের কাছে যাই। ছুঁই তাকে— ছুঁই না! ছুঁতে পারি কী?
কী যে করি জলে!
জলডুব শরীর— জল সঙ্গম— জলস্খলন— জল, জল, জল…
জলে ডাকে— জল শরীরের মেয়েটি!
জলমগ্ন মৃত্যু হয় না! নিঃশ্বাস ও হৃদপিণ্ড জলে ভেসে থাকে…
তোমার কবিতা পড়তে ভাল লাগে। আর্দ্রতা আছে। তবে কিছুটা জীবনানন্দ কিছু আবুল হাসান এর ছায়া ভাসে।