মাউথ অর্গান
তোমাতেই বিভোর ছিলো মুখস্থ অভ্যাস
জারুলের দিন; রেইনট্রির পাতায় অবগাহন
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে বায়োলজিক্যাল ক্লকের
ধ্যানে নুয়ে পড়ে তোমার ডানা
কাঠবিড়ালির উষ্ণতায় রাত দীর্ঘ হয়।
বাদুর ঝুলানো গল্পে সূতপুত্রের মাটি!
তীর্থযাত্রার সহযাত্রী ডুবে গেলো সূর্যের ম্যাজিক্যাল দহনে।
দোয়েলের শিস নিয়ে যায় স্বর্গে
মধুময় পাতার নোলক
গোলপাতার ফিতায় মেপে নেয়া হৃদয় পরিধি।
গ্রন্থি নিঃসরণে রক্ত ঝরে; সার্জিক্যাল ট্রমা
ভাস্কুলার কোষ লিখে রাখে দিনের লিপি
মেয়েটির ঠোঁটে হীরক বিস্ময়;
আলোকময় হিজল সুর
বর্ষার আগেই পৃথিবীতে স্নানের উৎসব!
ব্ল্যাকবোর্ড
নিতাই সোমেশ্বরী তখনো যৌবনবতী হয়নি
দিদিমনির চোখ বিস্ময়ে খুঁজেছি
প্যানাসিয়া পৃথিবীর কোমল অক্ষর।
মহাজনের ডেরায় বন্ধক দেয়া আছে
শিল্পকর্মের ইতিহাস, শিল্পীর মহৎ সজ্জা।
মরণাস্ত্রের ঝংকারে পারমাণবিক উল্লাস
আমার কোনো ভোর নেই; নেই মেটালের লাল গ্লাস।
নিতাই স্নানে খরগোশ দিন; চিবুক জুড়ে
পাহাড় রাত্রি নেমে আসে- দিদিমনিদের চতুর ঘুম।
কার্তিক আসলে রামায়ণের বায়োগ্রাফিতে
রাবণ বধের সম্ভবতা বানাই-
সীতা হরণের পাপে কবেই ডুবে গেছে লংকা নগর।
দিদিমনির হাতের যৌথ রিহার্সালে
আমাদের শিখে নিতে হয় বর্ণমালা
মানুষের মানবিক প্রেম
তোমার মুখের স্বচিত্র ছাপ।
শোক
পুনরায় জেগে ছিলাম যিশুর পবিত্র উত্থানের দিনে। একলব্যের যন্ত্রণা
নিয়ে ঘুরেছি শস্যের মাঠে; শালবনের আশ্রমে। ফুসফুস নিকোটিনে
অপেক্ষার অর্ধনিঃশ্বাস। হলদে হয়ে আসে কার্পাস গোধূলি।
পৃথিবী তলিয়ে গিয়েছিলো মাৎস্যন্যায়ের ঘোরে; নুহের প্লাবনে।
নিষিদ্ধ প্ল্যাকার্ডে ষোড়শীর তাবত মোহ। ঝরে পড়ে চিবুকের গলিত স্রোত ।
আঙুলে বিরহ জড়িয়ে ঘুমায় মানুষ। জঙ্গল ফাঁদে চিন্তার কোনো রেখা নেই।
বালিকার চুলের প্যারাগ্রাফে মৃগময় হাজার রাত্রি।