সেন্টমার্টিন
সূর্যাস্তের পেছনের গল্প পাঠের পর মনটা বিষণ্ণতায় ভরে ওঠে
কোথায় পাই তুষারের হিমেল স্পর্শ! রাত নিঝুম বড্ড একাকী লাগে।
যে দেশে পাখিদের বিরহ থাকে না; সেখানে বেদ, বাইবেল, কুরআন নেই!
যে তরিতে উঠেছিলাম আমরা সেটা মাঝিবিহীন নিরুদ্দেশের ভেলা
চকিত চাহনিতে শুধু সমুদ্রের স্বাদ; অক্ষির লোনাজলে চলে বেহুলা ভাসান।
নিমগ্ন বেদনার দুঃসহ সময় আঁকড়ে দুঃখ পুশে কোনো লাভ নেই।
ব্রজেন দাশের আগে-পরে কত শত সামুদ্রিক পাখি পাড়ি দিয়েছে বাংলা চ্যানেল
সেন্টমার্টিন আর কত দূর…!
জিয়োনকাঠি
নিশিরাতে শিশুর কান্না কারও ভালো লাগে না-
কোনোদিন ভাবে না কেউ অন্তরঙ্গ সঙ্গমের পরিণতি
সন্তান; মিলনানন্দের পর অনাবিল প্রশান্তির পরশ
সম্পর্কের বন্ধন দু’জন মানুষকে আরও গাঢ় করে
উত্তরাধিকারের প্রশ্নে রক্তের স্রোত বংশ পরম্পরা
কেবল প্রবাহিত হয় যুগ থেকে যুগান্তরে…
বাউকুড়ানি
এক বছর পর তোমাকে দেখলাম-
মনে হলো, কত শত যুগ কেটে গেছে
নিজেকে আঁড়াল রেখে কী সুখ পাও!
তোমার শুভ্রতায় ধুয়ে যায় মনের পঙ্কিল
স্নিগ্ধ হাসি শ্বেত; পায়রার মতন মুগ্ধতা ছড়ায়
হৃদয়ের কাঁপন কেউ দেখে না-
অনুভবে বুঝে নিও জড়তার নীল।
তোমাকে দেখার পর যাইনি আর শোভিত কাননে
তোমার কেশের ঘ্রাণ আমার চারপাশ মোহিত রাখে।
হ্যালুস বলে যে অপবাদ মোরে দিয়েছে শিরে;
বাউকুড়ানির ঘোর কেটে গেলে-
নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে তো!