অবাক অশ্বগুলো
কোথায় খোঁজো আলোহীন আকাশ?বিম্বিত কারুমুখ?
অনাহুত ডানার কাঁপন খুলে দেয় প্রতিধ্বণি তার।
সংসার পাঠশালায় অবাক পালকের ঘ্রাণ
বিবৃত করে ধূসর বর্ণপাঠ
পুরোনো বর্ষায় শোনো জলের আর্তি হঠাৎ ব্যাকুল
কারো নেই তো দীর্ঘ ধ্যাণ.. মরে যাবার মতোন।
তারপর…
জেগে ওঠে অরণ্য আঙিনায় জ্যোৎস্নার শরীর
আঁচলে জড়ানো শুধু রমণী বকুল
চোখে যার কাঙ্ক্ষা অতুল..ফেরা না ফেরার
তীর্থসংসার
একদিন ভোরে,
সব গল্পের রোদ গিলে ফেলে, পরম শীতের স্নেহে আমি আত্নহত্যা করবো
আমার মৃত্যুর খবরে কোনো শোকসভা হবে না
আমার চলে যাওয়ায় স্বস্তি পাবে অজস্র মেরুদণ্ডহীন মানুষ।
বহুদিন আগেই তো সমাজ,চিন্তা কে দেখিয়েছি বৃদ্ধাঙ্গুলি
আমি রাজার বেশে নগ্ন কুকুরকে বসিয়েছি সিংহাসনে
বোকা জমায়েত তাকেই করেছে কুর্ণিশ!!
কোনো এক রৌদ্রখরতাপের দাবদাহে আমার নিথর দেহ খুবলে খাবে অতৃপ্ত শকুন
চুপে চুপে পেরিয়ে যাই,হে দীর্ঘ আকাশ
দুঃখের সমান দীর্ঘ যে সাঁতার, সে আমার একান্তই
আঁধারের সমান দীর্ঘ যবনিকার প্রেম সে আমার নিজস্ব
চেনা কোন সুর আসেনা কোনদিন।
অথচ মানুষই জানে না
নিজস্ব বর্গক্ষেত্রে মানুষ কতটা একা
নির্মল প্রলোভনের মুখে
মানুষ কতটুকু দ্রোহী আর স্বার্থপর
এসব ভাবতে ভাবতে পাঁজরে লুকানো আঁধার ঠেলে নামে মধ্যরাত
এসব ভাবতে ভাবতেই কখনো নিজের ভেতরে জেগে ওঠে কাল কিংবা কালো রাত্রির মতো দীর্ঘ অজগর
অথচ এসবের কিছুই বোঝা হয় না আমার
স্মৃতি চলে গেলে চিহ্ন পড়ে থাকে
পরাজিত ও নিহত সৈনিকের শিরস্ত্রাণের মলিন যে শৈশব
তার চেয়ে ঢের গভীরে একদিন একা একা গিয়েছি হেঁটে
যদিও এসবের অর্থ বুঝিনি
বুঝিনি মানুষ কেমন করে জেগে থাকে নিজেকে ছেড়ে নিজের ভেতরে
কেমন করে সে পায় রঙিন আকাশ ওড়ার ঘুড়ি স্বপ্ন-বিহবল
এমরান হাসান-কবি।