কালো-জাদু
জাটিঙ্গা পাহাড় চক্রাকারে ঘুরে মরেছি;
কিসের সে টান ছিল জানি না।
কেউ বলে ভূ-চুম্বক,
কেউ বলে আবহাওয়া
এলোমেলো ছিলো।
এতদিন শুধু দিনে দিনে উড়ে ফেরা,
শোনা আছে কোনো কোনো রাত কুহকিনী
কালি লেপা চাঁদে;
ধনেশের পিঠ ভেজা ধূসর
কুয়াশা-অভিষেকে সে রাতে পালক-ছেঁড়া উপড়বো
পাথর-সবুজ কোলে।
গাঢ় কালো পাতায় সঙ্গোপন
তোমার সিঁদুরলেপা তন্ত্রমন্ত্র যত,
পাকে পাকে শঙ্খ লাগা গহীন উচ্চারণে।
তুমি শ্বাসে শ্বাস বেঁধে আমার মৃত্যু জপেছ,
মায়াহীন চোখ সবটুকু মায়া কেড়ে
ঠেলে ফেলো খাদে।
আজ সেই রাত নিশি ডেকে গেছে
আলো নিভে হিম নীল উঁচু নীচু
আকাশ উপুড় করেছে ডানা
আমি ঘুরে ঘুরে ছুঁই চিতা।
সবটুকু ছাই বাতাসে ফুঁ;
ইথারে মিশে তোমার পরিতৃপ্তি দেখি।
ক্ষণিক উন্নাসিক বেঁচে নাও
জন্মান্তরে আবারো আত্মঘাতী
ঝাপ্টাবো তোমার দুঃস্বপ্ন-রাত।
শেষ হয়ে শুরু
তোমাকে জড়িয়ে নেওয়া মুহূর্তে
কাকডাকা ভোর ফুটে গেছে কানে,
নীল ঠোঁটে শেষরাত ভাঁজ ফেলে
গড়িমসি, ছোট্ট টেবিলঘড়ি টিক টিক হাঁটে।
সকালটা বিচ্ছেদে থিতু।
সব পথ ছেঁড়াখোঁড়া,
এলোমেলো বয়ে যাওয়া
অবশিষ্ট যাপন।
স্নায়ুভোর সর্বস্ব-তুমি
পরস্ব পর থাকা খাতায়-কলমে।
এই আলো শেষ আলো,
তারও পরে বাঁচা।
সব শ্বাস শুষে ফেলে তবুও জিয়ন।
আহ্নিকে অণুপল
আবর্তনে তুমি-তুমি মায়া।
সব সারা বুঝে বুকে
ইতিকথা আলপনা-ছাপ,
সাক্ষী ও প্রমাণের
তাড়া তাড়া দলিলে হলুদ
শীতঘুমে শেকড় বাকড়
বসন্ত জাগর, উৎসুক।
রাকা বসু-পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা বাসী। কলকাতায় কর্মরত। শখ বই পড়া, টুকটাক লেখা, গান, ভ্রমণ। দুই বাংলার ই ম্যাগাজিনেই কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। ই বুক বেরিয়েছে। ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত বই আপাতত একটিই, “ভয়ঙ্কর বিশ