নাচগতি
নাচতে জানে না, এমন পাদুটি নিয়ে (প্র)গতি হচ্ছি
আজ শিল্পসভায় এলাম
তার আগে, যুদ্ধ করেছি
গতিধৌত ঘোড়াটির সঙ্গে
কোনো ইঞ্জিনচালিত নকশা
আমাকে ব্লক করতে পারেনি।
বিজয়ে ফুর্তি করতে হয় আর আনন্দে নাচ বাধ্যতামূলক
অন্তত চুমকুড়ি
নর্তনকুর্দন জানা একটি পা
খোয়া গেছে যুদ্ধমাঠে
এই আমার অবশেষ পা
শেষবারের মতো তোমার গীতিপথ্য দাও মীরাবাঈ
দেখার আনন্দ
চাঁদ দেখার আনন্দ আর মানুষ দেখার আনন্দ
খুব টলোমলো, ইহজীবনীমূলক
এ আপস দিনে অন্তত শুক্লরাত্রি দরকার
এবং যেতে হয় নিরপেক্ষ বিষাদের দুর্গম ছেড়ে
আত্মকথার ভেতর
কে নৈঃশব্দ্য কে পরিস্থিতি
বোঝাপড়া তা জানে না
তবু সুপ্রভাত নামক একজন জানালা
গমনাগমন খুলে দেয়
এমন ভাষাইন্দ্রিয়ে দাঁড়িয়ে টলতে থাকি
কেউ চাঁদ দেখে
কেউ আনন্দ দেখে
এ মার্গ আপজ্জনক
খানিকটা সলতেবাচক
ফলে, রক্তের ভাইয়েরা প্রবর্তনা করেন
টাকিলারাতে হেসে হেসে চাঁদ দেখা গুরুতর বারণ
নন্দন
পাশে মাংশ―এ কোন তিথি?
থরথর হেঁটে যাওয়ার উচ্চাটন কেমন
কটাক্ষ তা জানে
তবু পায়ের আখ্যান নাকি ক্রাচের গল্প―
চতুর্দিক এসে বলছে সবই তো খাসকামরা!
থোকা থোকা শোভা মাড়িয়ে যাওয়ার আস্পর্ধা
কারও নেই কারও আছে
ফুল্লত
বল্লম জাতের মেঘ জ¦লছে
তিনি পা সেরে নিচ্ছেন
ফুটে উঠছে বসন্তমাহাত্ম্য
আমিষাশী, বলো তো নরভাই,
এ ভ্রমণে কোথাও জখম ছিল কি না?
উঁহুবর্ষীয়ান
ঘোড়া বেঁচে আছে―এইটুকু তার হাততালি
তোমারও সুলতান চুক্কি খেলেছে সারা রাত
ওই জেনারেটর, সেক্সহীন―সেই তার অমর পরিচয়
নখ কাটে, হাওয়ার উদাস দ্যাখে, অফিসকে মেডিকেল বিল
ইয়ার্কি-চটি মারে বড়োজোর
বিয়ের বয়স বেঁচে আছে―এই ডেডবোডি নিয়ে বাগাডুলি
খালামাসি চলবে কতকাল?
অরবিন্দ চক্রবর্তী-কবি, জন্ম-১১ আগস্ট ১৯৮৬। রায়পাড়া, সদরদী, ভাঙ্গা, ফরিদপুর।
প্রকাশিত গ্রন্থ:
কবিতা:
ছায়া কর্মশালা (২০১৩)
সারামুখে ব্যান্ডেজ (২০১৬)
নাচুকের মশলা (২০১৮)
রাত্রির রঙ বিবাহ(২০১৯)
সম্পাদক: মাদুলি