দেবী মেনকা উইংসের আড়ালে হেঁটে যায়
আমি তাকে দৈবরানী করে রাখি
তোমাকে ঘিরে এত এত টোটেম-টাবু
দৈব কন্যার আনাগোনা, সাবিত্রীর মহীয়ান প্রেম।
ওই হাত তোমার চিরন্তন শিলালিপি-
সহস্রকালে ক্ষয়হীন, নিত্য সজীব।
যেন এইমাত্র আঙিনায় ফুটেছে নাইনো ক্লক
হাত দিয়ে আদর করে দেখে, অধরা ঝরে গেছে-
রোঁর আগায় এক পোজ কান্না লেগে আছে ।
বিষ পিঁপড়ে দংশিত স্বপ্নবাজ মানুষ,
প্রলুদ্ধ চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে
দেবী মেনকা উইংসের আড়ালে হেঁটে যায় ।
আদর
নিজকে নিজেই আদর করি,
চুলের ভাঁজে ভাঁজে অঙ্গুলি চালাতে চালাতে
অনুভবে আবিষ্কার করি-
কত অবহেলায় কাতর র্স্পশহীন রোমক,
তুমি তাকে এড়িয়ে গেছো।
দেখ, হাত দাও, তুমি নেই
তৃষ্ণার্ত মানবজন্ম।
মমতা বিক্রি
আমি যে পথ দিয়ে হাঁটি
এ পথ আমার ছিল না,
আমি তপতীকে ভিক্ষা দিয়েছি।
ও পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে জলের তোলপাড়ে
স্মৃতিবাহিত ডোবায় ঝাঁপ দেয়।
ও জলে কোনো বিরহী মাছ নেই, নেই মুক্তোভরা ঝিনুক।
আমি তপতীকে করুণা দিয়েছি।
আয়নালের ছবি দেখে ভয় পাইনি
আয়নাল ঘুমন্ত শিশুর মতো শুয়েছিল।
ওই সুন্দর দৃশ্য কোনোদিন দেখেনি…
আমি ওর কষ্ট তপতীকে ধার দিয়েছি।
তপতী বলে, তুমি আমায় মমতা দিয়েছো।
আলমগীর রেজা চৌধুরী-কবি
জন্ম : ১০ মার্চ ১৯৫৫, টাংগাইল। বিংশ শতাব্দীর সত্তর দশকের কবি ও কথাসাহিত্যিক আলমগীর রেজা চৌধুরীর জন্ম টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়ার সম্ভ্রান্ত ও সংস্কৃতি চেতনালব্ধ পরিবারে। শিক্ষায় স্নাতকোত্তর, রয়েছে বয়ন শিল্পের উপর উচ্চতর শিক্ষা। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতা। কিন্তু বোহেমিয়ান স্বভাব তাকে কোথাও স্থির হতে দেয়নি। বর্তমানে দৈনিক ‘সময়ের আলো’র সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। তিনি কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প ,অনুবাদ ও নানান ধরনের প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনায় ফলবান। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা : ৫২টি।