বার্গী
কার্তিকে সূতোকলি ফোটা জুমের আঙিনায় জ্যোৎস্না ফুটলে
একঝাঁক সোনালী গর্ভিনী বার্গী উড়ে যায়
মেঘের আড়ালে কুয়াশার ঘোমটা পরা পাহাড়ের মতো স্বপ্নে।
নীল মেঘ সাঁতারে সোনালী বার্গীমালা জ্যোৎস্নায় ভেজা পাহাড়
জীবনের ঘর গেরা্স্থালী ভালোবাসা স্বপ্ন কামনা
কৃষ্ণাযুবতীর সুডৌল সুপুষ্ট বুকের মতো।
মথুরায় গর্ভিনী বার্গী নীলমেঘ সাঁতারে উড়ে যায়
জ্যোৎস্নায় ভেজা পাহাড় হারানো স্মৃতিতে কৃষ্ণার বুক ভাসমান।
ভালোবাসা
ভালোবাসা মানে
চিরপৃথক দু’টি পোড়োসুতা অসহ্য যন্ত্রণা আর ব্যর্থতায় একত্রিত করা
ভালোবাসা মানে
অবিবেচক প্রমিথিউসের ইনসাফ হীন কথায় স্বর্গে যাবার দুঃস্বপ্ন দেখা
ভালোবাসা মানে
বিত্তহীন ভাঙা সংসারে বিত্তবানদের ঋণ দেয়া
কোনো একটা মনের নির্লজ্জ উপনিবেশ গড়া
ভালোবাসা মানে
টেক্সীর পান্ডু ডিজেলের পোড়া দুর্গন্ধ নাকে ঢুকিয়ে কপালব্যথা করা
ভালোবাসা মানে
বাহরালাবৃক্ষ আলিঙ্গন করে অসহ্য সময় শ্রাদ্ধ করা
রাঙামাটি
আমার আকাঙ্ক্ষার রাঙামাটি,
সন্ধ্যের জুমের মাথায় কুপড়ি পিঠে দাঁড়ানো জুম্মবী চোখের মতো
জীবনের পিছল – আশার সুখ স্বপ্নগুলো দু’চোখে মিতালী করে।
আমার আকাঙ্ক্ষার রাঙামাটি,
ঝর্ণাচুল-তালাকী যুবতীর বিচিত্র আশার মতো;
অফুরান ইচ্ছার বরদেবতা বিয়েত্রার নিত্য মিলন
পূর্ণিমাবুকের বাগানে কামুক প্রজাপতি প্রেমের আলপনা আঁকে।
আমার আকাঙ্ক্ষার রাঙামাটি,
অঘ্রাণের কাশফুলের ঘোমটা দীপক রাগিনীতে নেচে ওঠে
রাধামন ধনপুদি পালার শেষ প্রহরের উল্লাসে।
আমার আকাঙ্ক্ষার রাঙামাটি,
প্রতিদিন ছড়ানো ছিটানো লালমোরগফুলে সাজানো নববধূ
বান-ভাসা উচ্ছ্বাসে ঠোঁট দু’টি কেঁপে কেঁপে ওঠে
স্বপ্ন কামনায় সন্তান সৃষ্টির মিষ্টি ইশারায়।