শ্রেষ্ঠ গল্প
পাশাপাশি দুটো গাছ। সংক্ষিপ্ত ।
দুটোই দাউদাউ করে জ্বলছে।
নেপথ্যে ষড়জ পঞ্চম , অস্ফুট
তানপুরা। অথচ তারা কেউ কাউকে
বাজায়নি বহুকাল । জল বা অরণ্য
তাদের উন্মত্ত মিলন মনে রাখেনি।
একটা শুকনো নদীখাত ক্রমশ চওড়া
হতে হতে হলদে, বিচ্ছিরি ফাটল।
মজা খালের বুকে ভেসে আছে
আনাড়ি জীবন। মাঝে মাঝে উড়ে
যাচ্ছে ডাহুক… চোখ অন্ধ হয়ে
যাচ্ছে রাঙা ধুলোয়…জঙ্গল
মাড়িয়ে উঠে আসছে কার যেন দীর্ঘ
পদধ্বনি…খস-খস-খস…
এই আমি
ছড়িয়ে আছি, শান্ত যেমন ঘুম।
তোমায় দিলাম নদী, দিলাম জল
হরিণ শিশু এবং মিঠে ফল
আমায় তুমি ভুলে যাওয়ায় রেখো
ভূর্জপত্রে শেষ কবিতা লেখো
নিভু-নিভু আগুনশিখা , ধূম।
উড়েই যাচ্ছি , শুকনো বাঁশের পাতা।
তোমার জন্য ফুল বিছিয়ে পথ
অহংকারী সোনার বিজয় রথ
আমি নাহয় যবনিকার পাশে
শিশির বিন্দু যেমন মুথা ঘাসে
না লেখা সেই প্রাচীন বাংলা খাতা।
দহন দিনে
দু’কলি গান শুধু বিছানা- বালিশে
ভুল করে ফেলে গেছো কাল
স্বর ছুঁয়ে ছুঁয়ে বেঁচে থাকি , যেমন সে
আততায়ী খুন করে মুছে নেয় ঠিক পাতাঝরা
বেসুরো রুমাল
” মিলো হ্যায় খামোশি, বরষো হ্যায় তনহাই—”
ওটুকু মুষ্টি ভিক্ষা যেন, ওটুকুই বেদ, উচ্চারণ
বাদবাকি খড়কুটো জমা আছে সে মেয়ের চোখে
একা একা ভিজে গেল অন্ধকারে হেমন্তের বন
দূর থেকে কড়া নাড়ে কেউ…
” কিসকা রাস্তা দেখে …”