সুন্দরসমগ্র
১.
সেই অর্থে তুমি ফুল…
সুন্দরসমগ্র তোমার
কোমলে গিয়েছে ফেলে পা
তার চার্বাকে অভয়ারণ্য দৃশ্যের।
ভুলের সর্বাঙ্গে নুনদাগ
দোলে দোদুল—-হংসমিথুন
আর সে পিরিতাশ্চর্য উড়াল!
অংশে নিয়েছে যে গোপন—-
‘নেক্সটডোর পায়ের প্রলাপ’
ব’লে তাড়িয়ে দিয়েছে কান।
না-অংশত অনুস্বার রাগে
যেকোনো রাধার মতো বোলে
শীত খুলেছে পিহুতান!
আর সেই অর্থে তুমি বকুল…
জন্মান্ধে মিশেছে যত রাত
‘আলজিব’ কসম তোমার
সমগ্র ছায়াও দাঁড়িয়ে ‘সুন্দর’!
কী ভীষণ বয়ে যাওয়া ভোরে
মিথুন দুলছে চার্বাকে, নিবিড়!
মনকিয়া জ্বর থেকে ময়ূর
কী পয়ার ঘোর গিয়েছে খুলে!
তৎসম বসে অন্তে, দূরে ঢিলচোখ
এক তর্জমা যেন ভাঙছে মন—-
এসো মুহূর্ত, এসো ক্রমশ শিশির
নীরবলতায় খাই ঘনদোল…
অথচ পুড়েছে সুন্দর, আরও মুখ
শব্দেরা সংখ্যা জমায়—-
আহ্! কী জ্বর তোমার, মানচিত্রের!
কী কোমল রক্তের ছাই!
সেই অর্থে তুমি কবিতাভ
পা-কে শেখালে উড়ান, সামান্যে…
২.
ধরতে চেয়েছি যত সুন্দরসমগ্রে,
প্রমা থেকে প্রমাণ গিয়েছে খুলে
নিতে নিতে তিলার্ধ কুসুমের ভাঁজ
মিশে গেছে ক্যাফেটেরিয়ায়—-
ভেজা অঞ্চল ডোবে আরও শিসে,
সীমার চূড়ান্ত উচ্ছ্বাসে; বোকা জলে
কানাই কানাই যত শ্বাসটানা শ্রী
ফেলতে চেয়েছি কেড়ে, নির্বাক!
ঝরে গিয়ে আবার ঝুলতে থাকা
তৃষ্ণার মতো—-স্ববাক নৈঃশব্দ্যে
থেকে থেকে ছিন্ন হয়েছে ফেরাচোখ।
৩.
গিয়েছে সর্বধ্বনি ওপারে, এমন তৃষ্ণায়
হেমন্ত বিছিয়ে বসি; পাঠ করি স্নেহরূপ
আমার আঁধার খুলে গুনগুন মগ্ন জ্যোৎস্না
তারেও পড়ার ছিল বাকি! নিমের ফালি
মুড়িয়ে দিয়েছে সুইয়ে—-ফোঁড়ে ফোঁড়ে
ঝাঝরা রাতের যত গোপন চুইয়ে নামছে
ধীরে বাষ্পপরিপ্লুত কোনো চোখের লেকে
মনখই—-ফোটাতে পারি না; দেহচারী জল
দোলানায় জ্যোৎস্না বসিয়ে খোঁজে ছায়া
ব-এ শূন্য ধরে ছুটে আসে অসংখ্য ‘রু’!
৪.
পাহাড় কিনেছি সত্য; তোমার অংশে—-
বেয়ে ওঠা ধরে নেমেছি গড়িয়ে
চার পা চার পা করে, তর থেকে তরঙ্গে
আর ভিজে গেছে প্যারাবোলা আমার;
তোমার অংশে, গেলেই হয় না যাওয়া…
সুন্দর সমগ্রই।কবিকে শুভেচ্ছা।