শেখ মুজিবুর রহমান। যেন দ্রুপদের যজ্ঞ থেকে উঠে আসা এক দৃষ্টদ্যুম্ন। পিতার হারানো রাজ্য পুনরুদ্ধার বা গুরু দ্রোণের মস্তক ছিন্ন করার জন্যই যিনি জন্ম নিয়েছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানও বাংলার স্বাধীনতা ও হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য প্রকৃতি প্রেরিত এক সন্তান। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এরপর তিনি রাজনীতির বহু চোরাপথ পেরিয়ে, জেলজুলুম খেটে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে হাজির হন। লক্ষ লক্ষ জনতাকে সামনে রেখে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে একনাগারে বলে যান একটি মহিমান্বিত কবিতা। হয়ে যান একজন রাজনীতির কবি।
‘পোয়েট অব পলিটিক্স খ্যাত’ শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে অনেক কবিতা লেখা হয়েছে। নিজের অক্ষমতার কারণে সব কবিতা সংগ্রহ করে আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মাত্র পাঁচজন কবির কবিতা নিয়ে একটু আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এঁসব কবিদের মধ্যে রয়েছেন অন্নদাশঙ্কর রায়, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, রফিক আজাদ ও নির্মলেন্দু গুণ।
১৯৭১ সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। পূর্ব বাংলার সাতকোটি বাঙালি তো বটেই; পশ্চিম বাংলার শিল্পী, সাহিত্যিক ও কবিরাও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। এরই মধ্যে কলকাতা ময়দানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অনুরোধে সেই সমাবেশে যান ৬৫ বছরের বৃদ্ধ অন্নদাশঙ্কর রায়। তাকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়ে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় ও তার স্বামী অভিনেতা নির্মল কুমারের ওপর। কিন্তু অভিনেত্রীসমেত অন্নশঙ্করের গাড়ি ময়দানে পৌঁছার পরেই বিপত্তি ঘটে। প্রিয় অভিনেত্রী মাধবীকে কাছে পেয়ে তার ভক্তরা হামলে পড়েন। কোনোরকমে ভক্তদের হাত থেকে নিরাপদে চলে যান মাধবী। গাড়ি থেকে নামেন অন্নদাশঙ্কর রায়। কিন্তু জনারণ্যের কারণে ৬৫ বছরের বৃদ্ধের পক্ষে মঞ্চে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। পরিচিতদের সহায়তায় কোনোরকমে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। তবে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর প্রাণরক্ষায় বিচলিত হয়ে উঠেন অন্নদাশঙ্কর। জনতার ভিড়ের কারণে মঞ্চে উঠতে না পারলেও তিনি কলম হাতে তুলে নেন। লিখে ফেলেন সেই বিখ্যাত কবিতা-
যতকাল রবে পদ্মা যমুনা/ গৌরী মেঘনা বহমান/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার/ শেখ মুজিবুর রহমান।/ দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা/ রক্তগঙ্গা বহমান/ তবু নাই ভয় হবে হবে জয়/ জয় মুজিবুর রহমান।
যা পরবর্তীকালে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে মনে হয় সেদিনের সভাটিতে অন্নদাশঙ্করের না যেতে পারা একটি শাপে বর হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। জানি না সেদিনের সভা থেকে ফিরে না আসতে হলে অন্নদাশঙ্করের কলম থেকে এমন একটি কালজয়ী কবিতা বেরিয়ে আসতো কিনা!
শুধু সেই সময়েই নয় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরেও ৭০ বছর বয়সী অন্নদাশঙ্কর রায় কলম তুলে নিয়েছিলেন। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর স্মরণ ‘ শিরোনাম দিয়ে লিখেছিলেন আরেকটি প্রতিবাদী কবিতা।
ইতিহাস ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে আমরা জেনেছি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের মানুষতো বটেই-এমনকি তাঁর দলের লোকেরাও এই জঘন্য হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসেননি। যা ওপার বাংলাতে থেকেও টের পেরেছিলেন অন্নদাশঙ্কর রায়। তাইতো তিনি তার কবিতায় বাংলাদেশের মানুষকে বলেছেন-‘বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! থেকো নাকো নীরব দর্শক/ ধিক্কারে মুখর হও/ হাত ধুয়ে এড়াও নরক।
রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এলিজি কবিতা লিখেছেন স্বাধীনতাত্তোর বাংলার প্রধান কবি শামসুর রাহমানও। তিনি কবিতাটির শিরোনাম দিয়েছেন ‘ধন্য সেই পুরুষ’। সেই কবিতাটির একটি পঙক্তিই সেই সময়কার স্বৈরাচার শাসিত বাংলাদেশকে স্পষ্ট করে তুলেছে- ‘দেখ, প্রত্যেকটি মানুষের মাথা/ তোমার হাঁটুর চেয়ে এক তিল উঁচুতে উঠতে পারছে না কিছুতেই।’ শুধু সেদিন নয়; আজও কোনও বাঙালি বঙ্গবন্ধুর হাঁটুর চেয়ে এক তিল উঁচুতে উঠতে পেরেছেন? মননে, হৃদয়ে কোনও বাংলাদেশিই এখনও বঙ্গবন্ধু সমতুল্যতো দূরের কথা তার তিল পরিমাণ কাছাকাছি যেতে পারেননি। গিয়ে থাকলেও আমাদের চোখে এখনও পড়েনি।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন বাংলাদেশের আরেক কবি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ সামসুল হক। তিনি তাঁর ‘আমার পরিচয়’ শিরোনাম দিয়ে একটি কবিতা লিখেছেন। সেই কবিতায় সামসুল হক লিখেন-
আমি জন্মেছি বাংলায়/আমি বাংলায় কথা বলি।/আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।/ চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।/ তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে?
তেরশোতো নদী কোথা থেকে এসেছ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই পরবর্তী পঙক্তিতে কবি লিখেন- এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে/ এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে।/ এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে/ এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে।
তবে ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন আর জয়নুল অবন ঠাকুরের প্রতি কবির অসাধারণ শ্রদ্ধা সত্ত্বেও কেন জানি মনে হয় শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কবির টান যেন একটু অন্যরকম। যা কবিতাটির শেষের দিকের লাইনগুলো পড়লেই বুঝা যায়।
একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস;/ আপস করিনি কখনোই আমি- এই হলো ইতিহাস।
বঙ্গবন্ধুর আপসহীন মনোভাবের ফলই তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। যে ইতিহাস কখনও ভুলার নয়। মুছে যাওয়ার নয়। কবিও তাই বঙ্গবন্ধুকে কিছুতেই ভুলতে পারেননি। তাইতো সৈয়দ হক কবিতাটির শেষ চার পঙক্তিতে লিখেন-এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান ?/ যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;/তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি-/চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।
পায়ে উর্বর পলি আর বুকে অমিত তেজ নিয়ে রশিদ উদ্দিনের দেশ থেকে ঢাকায় এসে আস্তানা গেড়ে বসা এক মস্তান কবির নাম নির্মলেন্দু গুণ। তিনিই বোধকরি বাংলা সাহিত্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সবচে বেশি কবিতা লিখেছেন। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা তার কবিতাগুলো সবচে বেশি পাঠকপ্রিয়তাও পেয়েছে।
তাঁর একটি কবিতার শিরোনাম ‘আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি’। কবিতাটি স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ের লেখা হলেও এর পটভূমি আমাদেরকে যেন ঐতিহাসিক ৭ মার্চের কথাই মনে করিয়ে দেয়। তিনি লিখেন- ‘সমবেত সকলের মতো আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি,/ রেসকোর্স পার হয়ে যেতে সেইসব গোলাপের একটি গোলাপ/ গতকাল আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।/ আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।
এই কবিতাটি ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে উপলক্ষ করে নির্মলেন্দু গুণের আরেকটি জনপ্রিয় ও বিখ্যাত কবিতা আছে। কবিতাটির শিরোনাম ‘স্বাধীনতা-এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’। এর চিত্রপট এরকম। এখানে কবি স্বয়ং এসেছেন রেসকোর্সের ময়দানে। লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে মিশে তিনিও শুনতে চান হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান একটি কবিতা পাঠ করবেন। যে কবিতার জন্য সাত কোটি বাঙালি বুক বেঁধে আছেন। তিনি লিখেন-একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে/ লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে/ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?
সেদিন রাজনীতির মহাকবির জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিলেন কারখানার শ্রমিক, গ্রামের কৃষক, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে আসা প্রদিপ্ত যুবক। এসেছিল মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও করুণ কেরানী। এমনকি শিশু আর পাতা কুড়ানীরাও দল বেঁধে এসছিলো। সবাই সেদিন অর্জুনের মতো একাগ্র দৃষ্টিতে রেসকোর্সের বিশাল মঞ্চটির দিকে তাকিয়ে ছিলো। কখন আসবেন কবি? এক সময় মাথার ওপড় উড়তে থাকা পশ্চিম পাকিস্তানিদের জঙ্গি বিমান আর ভারি ভারি অস্ত্রকে তোয়াক্কা করে জনতার ঢল ভেঙে মঞ্চে উপস্থিত হলেন কবি। কবির সেই আসার অসাধারণ এক বর্ণনা দিয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। তিনি লিখেছেন- শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে, রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে/ অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন ৷/ তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,/হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার/ সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী? গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতা খানি :/ ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ’’৷ কবির ভাষায় সেই থেকেই স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের হলো।
তবে স্বাধীনতার মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান বেশিদিন স্বাধীন বাংলাদেশে বেঁচে থাকতে পারেননি। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য নির্মলেন্দু গুণকেও পীড়িত করেছে। তিনি পিতৃহারা সন্তানের মতোই শোকাভূত হয়েছেন। তবে সেই শোক নিয়ে তিনি কাব্যদেবীর কাছেই আশ্রয় নিয়েছেন। লিখেছেন-‘সেই রাত্রির কল্পকাহিনী’ নামের আরেকটি কবিতা। কবিতাটির শিরোনাম সেই রাত্রির কল্পকাহিনী আসলে এটিতো একটি বাস্তব ইতিহাসই হয়েছে। কবি পথম ছত্রেই লিখেছেন-‘তোমার ছেলেরা মরে গেছে প্রতিরোধের প্রথম পর্যায়ে,/ তারপর গেছে তোমার পুত্রবধূদের হাতের মেহেদী রঙ,/ তারপর তোমার জন্মসহোদর, ভাই শেখ নাসের/তারপর গেছেন তোমার প্রিয়তমা বাল্যবিবাহিতা পত্নী,/ আমাদের নির্যাতিতা মা।
এত এত প্রিয়জনের মৃত্যুর পরেও বঙ্গবন্ধু অবিচল। তার আভিজাত্য, অহংকার যেন একটুকু টলেনি। তিনি বিছানা থেকে কালো ফ্রেমের চশমাটা পড়েছেন। এরপর কালো পাইপ টানতে টানতে মৃতদেহগুলোর সামনে দাঁড়িয়েছেন। অতপর তিনি সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বুক প্রসারিত করে ঘাতকের বুলেটের সামনে দাঁড়ালেন। যেন তার মৃত্যুর জন্য একটি গুলির বেশি অপচয় না হয়। বঙ্গবন্ধুর এই মৃত্যুর সময়টাকে কল্পনা করে নির্মলেন্দু গুণ লিখলেন-‘তোমার পা একবারও টলে উঠলো না, চোখ কাঁপলো না।/ তোমার বুক প্রসারিত হলো অভ্যুত্থানের গুলির অপচয়/বন্ধ করতে, কেননা তুমি তো জানো, এক-একটি গুলির মূল্য/ একজন কৃষকের এক বেলার অন্নের চেয়ে বেশি।/ কেননা তুমি তো জানো, এক-একটি গুলির মূল্য একজন/ শ্রমিকের এক বেলার সিনেমা দেখার আনন্দের চেয়ে বেশি।/ মূল্যহীন শুধু তোমার জীবন, শুধু তোমার জীবন, পিতা।
বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কবিতা লিখিছেন বাংলা সাহিত্যের আরেক গুরুত্বপূর্ণ কবি রফিক আজাদ। তিনি কবিতাটির শিরোনাম দিয়েছেন ‘সিঁড়ি’। ধানমণ্ডির বত্রিশ নম্বরের বাড়িটির যে সিঁড়িতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেহ পড়েছিলো তাকে কেন্দ্র করে তিনি লিখেছেন-‘এই সিঁড়ি নেমে গেছে বঙ্গোপসাগরে,/ সিঁড়ি ভেঙে রক্ত নেমে গেছে-/ স্বপ্নের স্বদেশ ব্যেপে/ সবুজ শস্যের মাঠ বেয়ে/ অমল রক্তের ধারা বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে।
শুরুটা করেছিলাম মহাভারতের দৃষ্টদ্যুম্নের উদাহরণ টেনে। শেষটা করছি মহাভারতেই আরেকটি চরিত্র নরহত্যাকারী অশ্বত্থামার কথা বলে। অশ্বত্থামা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষে দ্রৌপদীর ঘুমন্ত পাঁচ পুত্রকে কাপুরুষের মতো হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকেও একালের অশ্বত্থামারা রাতের আঁধারে সপরিবারে হত্যা করেছে। তবে পার্থক্য একটাই যুধিষ্ঠির এবং তার ভ্রাতারা সেদিন দৈবের বলে বেঁচে গেলেও বাঙালির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জন্য সেদিন কোনও দৈবও সহায়ক হয়নি।