আশ্চর্য আধুলিনামা
গিলে খাচ্ছে চোখ ঘুমের আস্তিন।
সরে যাচ্ছ পাহাড়িয়া বাঁশির সুর, নগর,কল্পিত সুখ
আনন্দ-পুরোধা জাগে দিনরাত্রি দৃশ্যে-অদৃশ্যের গ্রামে
যতটা একলা তার পালকে-কারুকা
তার থেকেও দীর্ঘ এক
সুবর্ণ সংগ্রামের পথ জেগে গেছে নতুন কররেখা জুড়ে।
নন্দিত হাওয়া ঘরে কার মুদ্রা বাজে,শোনো।
পায়ের আলতা ঝরে যায় রোদ আর বিভ্রমের আবরণে।
কেউ কেউ রয়ে গেছে এসব থেকে দূরে যতটা আড়াল পারে
ঠিক ততটুকু ভালোবাসার জন্য মরে যায় সৌখিন সকাল নক্ষত্ররাজি থেকেও আলোকবর্ষ দূরে
আঁকা হয়ে থাকে কোন এক পথিকের চিহ্ন কিংবা পথ
মুদ্রার মতন চকচকে এক দীর্ঘ মনোরম হাওয়াঘরের বুক
শুধু ঘোরের ভেতর ডুবে যায়…
উড়ে যায় প্রতিক্ষার নীল!
জন্ম-জন্মান্তর
অপরূপ বৃক্ষের গল্প লিখে যাচ্ছি, শোনো
আহুত জীবনের সে প্রেম ধ্বসে যায় অলৌকিক যাত্রায়
অাচানক ছায়াবাজি কিংবা মৃত্যুপথে
সমস্ত সুর-চিন্তার থেকে দূরত্ব কতোটা আর?
প্রশ্বাসগুলো জন্ম-জন্মান্তরের নামে চুপ!
হাওয়া-উৎসবে থেকে যায় এর চেয়ে মহিমান্বিত কিছু…
আবার আলোকরঙা ভোর
পাপ-পূন্যের দিকে ফেরাও সেজদা সময়ের
আবার রাত্রিরঙা শোক
দম্ভিত প্রাণের মোহে এই মৃত্তিকায় ঘুমোও শেষবার।
ঘুঙুর
নাচঘরে কে আঁকো অনন্ত আকাশ?
ভিড়াও হাওয়ার আলোয় ঘুমের কফিন?
বাতিঘরে সুর তোলে অবাক সংসার
কর্পুর সুবাসে বিহবল স্পন্দিত কররেখা
বিষন্ন শহরের মোর্চায় ভাসে নিখুঁত ছবি
তারো চেয়ে আকুল প্রানের নোঙর,স্পর্শের সিম্ফনি
মুগ্ধ শরীরের ডাকে মৃত ছায়া জমায় আসর
ক্ষত্রের আলপথে ওড়ে কঙ্কাল পাখি
ঋতুকাব্য শেষে ডানার ভয়ার্ত কাঁপন ঢের প্রিয় তার!
পরম্পরা
শেখা হলো পরাস্ত বিপ্লবের পাঠ
মুগ্ধ পরমায়ু যতোটুকু ছিলো নিকেশের কালে
পারম্পরিক মতবিরোধ কিংবা পরম্পরায়
দূরত্ব যোজন জেনেও সে পথেই নেমেছে জীবন
ডানাপন্থি যাপনদৃশ্যের গুণিতকে
যে পুড়িয়েছে বিধ্বংসী আয়ুর বাগান
ভুল উপসংহার মগজে গেঁথেছে সেই মোহে তার।
মর্গের স্মৃতিচর্চা সেরে কতোটুকু বদলায় জল?
জলের শপথ?
কলঙ্কিত ঘোষণার ছবি মুছে দিলে থাকে না অভয় কোন
দ্যাখো, উপমীত অপরাহ্ণরীতি
চিহ্নের বিস্ময় কেমন আশ্চর্য পাথরপ্রতিম!
পুনর্ভবা
এ গল্প কোনদিন শোনায়নি কেউ
গুচ্ছ আলোর বুকে শুয়ে থাকা রাজশ্রীয় অন্ধ-কাল
প্রাতিভাসিক পাপ-পূন্যের আড়ালে নিরঙ্কুশ ব্রহ্মাণ্ড এক
জলে ও জ্বলন্ত স্মৃতিরর মুর্ছনায় চুপচাপ শুয়ে থাকা
অনাদি – আদিম কণ্ঠস্বর….
মানুষের ঘ্রান- শরীর -শরীরীবৃত্তি শুষে নিয়ে
মৃত নদী রূপে জেগে থাকা মূক – পাললিক ভূমি।
নন্দিত উপমায় মুদ্রিত অক্ষরের টানে
বারংবার দীর্ঘশ্বাস হয়ে ওঠো তুমি
কিংবা হয়ে ওঠো পরাজিত স্মৃতি সমুদ্দুর
পুনর্ভবা,
স্মৃতি ছুঁতে গেলে কোনো একদিন পালক হয়ে ওঠো তুমি
তোমার শহরে কতো দুপুর রোদ্দুর পড়েনি!
তোমার তন্দ্রাময় গোপন হিম এক শহর শুয়ে থাকে
এ দৃশ্যেই থমকে আছি নিযুত সময়
হিম-শহর। কিংবা হলুদ জল- পালক
নিরুপায় অশ্বের বেশে নিশ্চুপ।