ডোম
চাড়ালে দেউল মৌজা। কোদালের ডগায় ডগায় মুড়োল কঙ্কাল;
শিকড়ের মাড়ি।
আমিনের স্কেলে চিরে যায় বুক; নামজারিতে আমরা
বহাল- হরুনাথের দো’নোলা ওয়ারিশ।
খাজনার বাজনা শেষে চড়কের ভ্যাঙড়ও তো মানুষ।
পয়ন্তি সিকস্তি সরেজমিনে জলজ বেশ্যা।
পর্চার দোহাই দখলনামা গেঁথে গেলে পাজরের ভাঁজে
বর্ষায় ধুয়ে যাবে গাঙের কলঙ্ক।
চার এক’কে চার- জাতের জরিপ।
ডাকনাম ডোম, তোলানামে আমিই চণ্ডাল।
বামুনেরা পৈতায় বেঁধে কখনো কি ঈশ্বর পোষে?
অনার্য
ব্যস্ততম সড়কে আমাদের প্রেম। হুটহাট ট্রাফিক জ্যামে
সাজিয়েছি অভ্যস্ত বিচ্ছেদ।
লালবাতি রাখেনি কখনো লালুর খবর।
লালুরা কি বাতিঘর হতে জানে?
প্লাস্টিক সার্জারিতে শিশ্ন বাড়ানোর শিশির
জিতে নিলো যৌথ সঙ্গম।
ফ্যামিলি প্লানিং শেষে ঘরে ফেরে হেলাল ডাক্তার,
মা হতে ভুলে গেছে ওর পোয়াতি বউ।
হরতন, রুইতনের কেবল হাত বদলের নেশা
আড়াই কোটে টেক্কা মারে পাসপোর্ট সাইজের হর্স।
অনার্য, দান চাললেই সাপের হাপর।
ওপাশে সাজানো বাঁশোই, অর্জুন এক্সপ্রেস।
পরম্পরা
চাতরে চাতরে লুটোপুটি খায় কোলা বীজধান;
জ্বলে ওঠে বংশের বাতি। প্রথম সন্তান।
ধানের বাচ্চাদের দুধের অভাব হয়নি কখনো।
গোছে গোছে প্রসবের সুখ। স্বাস্থ্য আপার কোনো
মাথা ব্যাথা নেই।
“ধান সাধ খায়রে হৈ” বলে কতবার বন্ধক রেখেছি
কাঁচি; লক্ষ্মীর ডাইরিতে শুয়ে আছে সে-সব
হিসাব।
সূর্য মামার এলার্মে শিশিরের রিংটোন শুনেই
আমরা তত্ত ভাতে মেখে নিয়েছি কুমড়ো ফুলের
বড়া।
গোলার দেরাজে গুজে রাখা আঁটি ফিরে আসে
এক পালা ধানে। আকাশের ভাঁড়ে জমা হলে মেঘ,
মটকার ঘোমটা নামে পালার মাথায়। ঝড়ো ভূত
গিলে খায় চাষার ঘুম।
চাষাপুত্র বোঝে শুধু মাটির রাজনীতি।