ব্রিজের গভীরে ঝুঁকে
১
এবং আলোর চেয়ে নীচু সে শেকল দ্যাখে
স্তম্ভিত পতাকা তোমার
ঝড় বাদলের দিনে রেডিও শুনেছে শুধু
স্বেচ্ছায় কোথাও ওড়েনি
কাঁচের মিছিলে কাঁচ … ওরা ঠিকই হেঁটেছিল …
দমচাপা ঘড়ির দোকানে
কাঁটাপুকুরের পথঃ ক্রমশই
সরে গেছে
হাওয়া
২
যেখানে আলোর ছাপ মুছেছে অতর্কিতে
ডুবে গেছে গণিকার স্বর
দুচোখে শাস্তি আর হৃদয়ে বারুদ নিয়ে
ফিরেছে নাবিক একা একা
লাল এক আয়ুরেখাঃ ব্রিজের গভীরে ঝুঁকে
স্বেছহায় কখনও শোননি
সাবেক যুদ্ধের ডাক ভাসমান শিয়রে আমার
দুপুরবেলায়
১
জলের কাছে জেগেই আছে সমস্ত অবাধ্য ছায়া
তোমার চোখে দীর্ঘ দুপুর
দুপুরবেলায়
হারানো মানচিত্র আসে আমার কাছে তোমার কাছে
হাত কেটে যায় যেসব কাঁচে
তাদেরই জল জটিল ছায়া
তোমার চোখে জেগেই আছে দীর্ঘ দুপুর
দুপুরবেলায়
২
আমার কথা ফুরিয়ে যাবে
যেমন যাবে শান্ত দুপুর
তোমার চোখে বিলুপ্তপ্রায়
আমার চোখের হদিশটুকু
সকল বয়েস, বিপদ এবং
রহস্যময় ভয়ের পুকুর
দীর্ঘায়িত অনুচ্চারে
আমার ক্ষত জুড়িয়ে যাবে
যেমন যাবে ক্লান্ত দুপুর
৩
সারাদুপুর খিড়কিপুকুর চুপ
তোমার চোখে শান্ত ডুবে যাক
জলের শহর, প্রাচীন পোশাক
ছায়ার ছায়া-আর্তনাদের সুর
সারাবিকেল পথের দিকে চুপ
তোমার দুচোখ আরশি হতে চায়
অতর্কিতে স্মৃতির দরোজায়
আমায় ডাকে অন্ধকারের রূপ
ছায়াশরীর এমনি ডুবে যায়
জলের পাশে স্তব্ধ জড়তায়
সন্ধ্যা আনে বিপন্ন বিদ্যুৎ-
প্রতিধ্বনির সঙ্গে নিরুপায়
স্বপ্নে আমি ভীষণ অপ্রস্তুত
তোমার চোখের পাথর হয়ে যাই
শিঞ্জন গোস্বামী-কবি। কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। পেশায় অধ্যাপক।