শূন্যস্থান পূরণ
অতটা আমি নেইতো মেয়ে ভালো
এই একা আমি আজ ঘরহীন রই
যাযাবর মন পাখনা মেলে মেলুক
তুমিহীন আজ নোঙর ফেলি যে কই!
ভালোবাসো তবু্ পাই না যে তার ছোঁয়া
ব্যথার তুমুল ঢেউয়ে লাগাও বাতাস
আগুন পিপাসু নই তবু্ও মেয়ে
বিরহের মেঘ জমে হয় কালো আকাশ!
ঘোর
আমি তোমার কেমন মানুষ- খুব জানিও
কেন রাত-বিরাতে আনমনে আমায় স্মরে
মোবাইলের সবুজ বাটন স্পর্শে আনো
আবার তুমি রেড বাটনে ইচ্ছেহীন ঘর বাঁধো -তা জানিও
সংকোচের ঐ লাগাম টেনে আবেগখানা চুপ করে দাও
কোন সে এক দ্বিধায় পড়ে; তা জানিও-
স্কুল আওয়ারের চোখাচোখি স্মরণ করে আঁতকে ওঠো
স্মৃতির সাগর হাতড়ে ফিরে আনমনে ঐ মায়াবী হাসি
কেন হৃদয় ভাঙতে তুমি- তা জানিও
ছোট্ট জীবন ফুরিয়ে যাবে- তবুও তোমার কল্পনাতে
কেমন আমি প্রেমিক ছিলাম- তা জানিও
আনমনে সেই পড়ার টেবিল- বান্ধবীদের কলতানে
যে নাগররা কথায় আসে; সেখানেও কি আমি ছিলাম- তা জানিও
রাত গভীরে খুব নিশীথে- আপন মনে খুব জোয়ারে
যে মানুষটি তোমাকে পায়
সেই কি তবে আমি ছিলাম-খুব জানিও
ভালোবাসার তুমুল প্রেমে যে নামটি লিখেছিলে
হঠাৎ কারো আগমনে রটে যাওয়ার বিরাট ভয়ে
প্রিয় নামটা কালো করে খুব ব্যথিত- তা জানিও
মনের ভেতর গহীন কথা বুক পকেটেই রেখে দিয়ে
কতটা কাল কষ্টে ছিলে- তা জানিও
অনিচ্ছায় দূরে গিয়ে-
কেমন তুমি ব্যথিত আজ- তাও জানিও
ছাই
পুরুষ বিরহে সিগারেট টানে
নিজেকে জ্বালাতে চায় বলে
এই পুড়তে চাওয়া মানুষের জন্য আমার হাপিত্যেশ হয় খুব!
জীবনকে পোড়ায়ে মৃত্যুকে ডাকে
আমি বলি- মৃত্যু তো নিশ্চিত অন্তত বাঁচার চেষ্টা করি
কিন্তু তা না-
পুরুষের এ এক পুরনো অভ্যেস
পুড়তে থাকাই যেন ধর্ম
কেননা-
নারী চলে গেলে পুরুষের সিগারেট ছাড়া পোড়ানোর কেউ থাকে না…
কী অদ্ভুত!
একজন আছে তো অন্যজন নেই
যেন সিগারেট আর নারী দুইজন সতীনের ঘরের সতীন
আর যে পুরুষের দুই-ই আছে
সে মৃত: অনুভূতিহীন কানচিতে পড়ে থাকা আমড়া গাছ
নতুবা-
মৃত ভূত- শুধু দেহ নিয়ে পাইচারী করছে এদিক-ওদিক
