একটি নিরব চালচিত্র
এক নাট্যদল, তারা কস্ট করে আয়োজন করে
মানুষকে নাটক দেখায়।
একজন শিক্ষকের একটি ময়লা স্থান পছন্দ হয়েছে
নিজেদের ঘর করে বসবাস করে
সে সেখানে কবর খুঁড়েছে।
ভালোবাসা আয়োজন করে কেউ কেউ
আপনার গৃহে ডাকে আপন আলোয়
কেউ কেউ খাইয়ে আনন্দ দিয়ে বসেছে রাস্তায়।
একজন সৌখিন জিবনে
লেপটপ নিয়ে বসে উড্ডিন কার্নিশে
চা-কফিতে ইভেনিং ফ্লুটেড হয়েছে।
একজন বই খুলে মগ্নতার ছবি উঠিয়েছে
পাতার সুঘ্রান তার বাতাসে বাতাসে।
দুজন সংলাপে মাতে, তুমি কেন ডাক?
তোমার কিছুই দেখা হয়নি কখনো
তুমি কি পারবে দিতে কিছু? প্রেম, মায়া
আসলে কী? বিচ্ছিন্নতা, অসন্তোষ দেখে না তো কেউ
আমার প্রেমের কাজ হয় না কোথাও!
পৃথিবিটা দেখে যেতে
গাছের জিবন ভাবি, অসহায় সে, ঠায় দাঁড়িয়ে
শিকরের ভাষা তার ভালো করে জানা
শিকড় ছাড়ে না।
চারিদিকে পৃথিবিটা দেখে যেতে, ভাবো
কতদূর না পৌঁছাতে চাও
যা দেখতে পাও তুমি সামনে পেছনে
গাছ দেখে, অনেক উপরে উঠে এবং গভিরে।
বহুদূর দেখে যেতে তার..
প্রদক্ষিন করতে লাগে না
পাখি হয়ে উড়তে লাগে না।
জিবনকে বড় করে দেখে যেতে তুমি
প্রথমে গাছের কথা ভেবো
শিশুর মতোই তার কতকিছু সহ্য করে বাঁচা!
জিবন একটি গাছ, তাকে তুমি যন্ত্রনায় বিদ্ধ
করে রাখো বারবার, সব ঘুরে এসে—
শিকড়ের গভিরে না গেলে
কখনোই তুমি আর নিজেকে পাবে না।
বাংলার নতুন জাতিয়তা
অজ্ঞতার মঞ্চে তুমি দাঁড়িও না আর
বিপরিত ধ্বনিগুলি চারপাশে ভিড় করে তোমাকে নেবে না
এ আমার নিদারুন বাংলার শিক্ষার ইতিহাস
ধর্মটাকে শিক্ষা করে শিক্ষা ধর্মে নেই।
কি তুমি দেখবে আর নাগরিক দৃস্টি সিমানায়?
চেয়ে দেখো এর চেয়ে আরো কিছুদূর
মাঠ-ঘাট লোকালয় পার হয়ে নির্জন পাড়া-গা
কোথাও হয় না কোন ঠাঁই আর শিক্ষার আলোয়।
আমার বাংলার শিশু, আমার বাংলার নারি
চিরন্তন হৃদ্যতার কুমারি কিশোরি
বৃদ্ধ, জায়া আর যত আত্মিয়তা দেখো
ধর্মকলে গিটবেঁধে এগিয়ে চলেছে।
দেখেছ কি করুন বাস্তব?
জ্ঞানের ইন্দ্রিয় তার খুলেনি কখনো
কিন্তু তারা চলে গেছে জিবনের অন্তিম সায়াহ্নে।
প্রিয়তম বাংলা, তুমি আমাদের শিক্ষা
জ্ঞানের খাতাটি আজ কোথায় লুকালে?
তুমিই আমার মঞ্চ, আলোকিত দ্বিপ, ফল্গুধারা
আমি আর কোথাও বলি না
মরে গেলে দেহটাকে শুয়ে দিয়ে বলে যেও শিষ্ট, শুদ্ধাচার
পতাকার সংগিতে বাজিয়ে যেও বাংলার নতুন জাতিয়তা।
মন
তোমার যাবার পথ তুমি দ্রুত শেষ করে ফেল
কেননা ওখানে তুমি আগেই পৌঁছেছো
অর্থাত তোমার মন, তোমাকে ঘুমের মধ্যে ফেলে
এদিক ওদিক ছুটে যায়
আর তুমি, ঘুমের স্বপ্নের মধ্যে কাতরাতে থাকো।
মন যদি দিগ্বিদিক চলে যায়, তবে—
বলো আজ, একা একা ভালো থাকে কেউ?
ঘেমে উঠে শরিরের বন।
ভেজাচোখ নিয়ে তুমি কতদূর দেখে যাবে আর
এর চেয়ে তাকে তুমি, না হয় যত্নেই ধরে রেখো।
খেয়াল করেছ কিনা জানা নেই আজো
সকল পথের শেষ ফলের হয় না
যে পথের শেষে কোন ফলই নেই, সেটা ভুল পথ
ভুল পথে কেন তুমি দিতে যাবে মন?
যুদ্ধ নয় শান্তি নয়
মহামায়া, তুমি আজ কোথায় লুকালে?
শূন্যতায় ডেকে যাই বর্তমান
খুঁজে খুঁজে হয়রান।
ফুটপাত, বারান্দায়, গ্রামিন রাস্তার পাশে মদিরা মাতাল
রাখে না খবর, কি যে কস্ট! বিঁধেছে এমন—
দারুন, বৃস্টিরা আজ ভিজছে শিতল বাসনায়।
তুমি কি কখনো ছিলে দৃশ্যমান? মহামায়া?
হাওয়ার ঘুর্নিতে কত অশ্রু ঝরে গেল
ভাতের ভুগোল ভেবে ভেবে
লোভের রাজ্যেই হলো করুন ট্রান্সপারেন্ট, তার—
ক্ষতবুক, দেখি দৃস্টিহিন তিরন্দাজ
কিংবা পাখিরাই আজ নিশানা পাল্টেছে
একটি কাকের বেলা শেষ
আঁধার যাত্রায় ডাকে নিঃসঙ্গ আকাশ।
স্লেট থেকে খসে যাওয়া তারাদের ভাগ্য নিয়ে
নিরুদ্দেশ বালিকা বিলাস!
তার সাথে কিছু গল্প ছিল
বৈশাখ, পার্বন আর আড়ঙের জিতে যাওয়া ষাঁড়
ভোরের শিশির ভেদ করে কিছুদূর
নগরের আলোর মিছিল দেখে চেতনার স্কুলে দেবো আলো
মধুমাসি পাহাড়টা দিনে দিনে ম্লান হয়ে যাবে
কোনদিন গৃহে ফেরা হবে তার?
জননি কান্নার রঙে মিশে গেলে কিছুই থাকে না।
যুদ্ধাহত ইউক্রেন কি মৃত্তিকা থেকে খসে পড়া?
ফিলিস্তিন কি যুবতি কন্যাদের স্বপ্নপোড়া ঝলসানো রুটি?
হননের অভিপ্সায় নুব্জ ইরাকের অর্থনিতি
অকটেন, ম্যাঙ্গানিজ, বক্সাইড তুমি কি চিনেছ ইহাদের?
তারা কোন্ ওয়ার্ল্ড বিউটি?
সুপ্ত বাসনায় আজ পেয়োনির দুর্দান্ত এশিয়া।
মহামায়া, যুদ্ধ আর মানবতা এক কথা নয়
ধর্ম আর রাস্ট্র কখনোই সমভিত্তি নয়
একটি খারাপ স্বপ্নে ঘুম থেকে জেগে
চলেছ বাস্তব নোংরা পৃথিবির অধিনস্ত হতে
এ কি তবে এডুকেট সোসাইটি থেকে
চিটিং প্লানেট স্বালো করে রাখা মারাত্মক কিছু!
যুদ্ধ নয় শান্তি নয়, তুমি কি কোথাও বর্তমান!
কবি নজরুল, রবীন্দ্রনাথের প্রেম বুকে নিয়ে
এগিয়েছে আমার সময়
প্রেম কেন শর্তহিন জানে না সময়!
এদেশকে অনুর্বর মৃত্তিকার অভিশাপে রেখে
তোমরা লাগিয়ে যাবে অশিক্ষার রং
কতদিন আর কতদিন চোখে বালি?
চিটিঙে সামিল হতে দ্রুততর আগায় মানুষ
ধর্মিয় অশিক্ষা তত্ত্ব করে কেউ চেতনায় নাই
মুক্তির সামান্য খুশি আমাদের নারিদের পড়িয়েছে মালা
জাগরনহিন ঘুম, যেন আর কখনো জাগে না
সন্তানের উজ্জ্বল আগামি কবরের মাটি ছুঁয়ে
ধূলিস্যাৎ কোনো এক মলিন আলোয়!
দেশপ্রেম, মাটিপ্রেম, ক্ষমতার লিপ্সতায় সকল মানুষ
অর্থহিন করে গেল কারা?
মহামায়া, আজ কোন উত্তর মেলে না
স্বশিক্ষার আলো তুমি সকলকে দাও।
নিরবতা, কুয়াশার মাঠ
গ্রামদেশে বিশাল বিশাল মাঠ, প্রেমে পড়ে যাবে
চাঁদ বলে কথা, আহা! মিলে কি এমন?
ছবি করে বসাও তো, দেখি সব মায়া, মরিচিকা
সেই তুমিই তো আজো প্রেমময়, প্রেরনা আমার।
তোমাদের পৃথিবিটা শান্ত আজ, কোলাহলহিন
জেগে জেগে আমি একা, অনেক অনেক দুরে, দেখ— এখানে আসে না আর তোমার চিৎকার
ততোধিক উপরে কে নিচুস্বর, ডেকেছে মনিষা
বর্ষারূপে বসে আছি, আমি একা ভিজাবো তোমায়।
মেঘেদের দেশে, এ তো খুব নিরবতা
মেঘ তুমি কোথা পেলে? চারিদিকে সাঝের আকাশ
আছড়ে পড়েছে খুব, ওই দেখ দুরে
সুনসান নিরবতা, কুয়াশার মাঠ
মেট্রোরেলে চেপে বসে ঝাঁকায় সকাল।
বিরান বিশাল মাঠ, খা খা ফসলের ভাড়ে নত
জড়িয়ে ছড়িয়ে থাকা নিরিহ পাহাড়
কখনো কোথাও খুব নেই তার পরোয়া পয়ার
স্লিভলেস, পৃথিবিতে চলে যাচ্ছে কতশত বেদনার রঙ!
সুখের দিনের কথা কারে বলি আজ?
মাটিকান্না চেপে রেখে জেগে উঠা কুয়াশার কাল
কেউ এসে কই বলে নাতো কিছু! কি হয়েছে তোর?
কুয়াশার মাঠজুড়ে কেন এত চাঁদের আকাল!