সীমান্তবর্তী
চৌকাঠে চিহ্ন রযে়ছে চলে যাবার
ঘাবডে় যাওয়া ফিঙেটির ঠোঁটে লেগেছে প্রার্থনার রঙ
ঘুমের মধ্যে চিনে ফেলা আদর্শ সীমান্তে তীরবিদ্ধ হুদহুদ
কালের খেয়াবে নডে়ছে জলফুলের নিরন্তর নামতা-সড়ক।
স্নানদৃশ্য দেখেছে চোখ,
ভেজা শরীরে লেপ্টে থাকা শাড়ীটির আয়নায় শোক।
চেনা একরাশ বিরক্তি রযে়ছে শোনো
জরায়ু কাঁপে।জন্মান্তরের ক্ষোভ রেখে যাবো পুণর্জন্মে
শ্রী-শরীর চিনেছে
দুর্দান্ত সন্ধ্যায় যে রেখেছে স্মৃতিদুরন্ত যুদ্ধছায়া
উঠোনে পা-চিহ্ন রযে়ছে মূহুর্ত আরতির…
মার্চ’১৯৭১
ভেসে ওঠো এই অক্ষাংশে,অক্ষরবেশে
অলকানন্দা’র দারুণ ঘোলাটে দিনে।
সন্ধ্যা-মাতানো মেঘের আঁচলে,
শোকের দরোজা খুলে স্বরূপ-সন্ধানে।
শাদা জ্যোৎস্নার জংশনে শোক,ধূসর কারুকাজ
পথের ছায়াতে নামে এ সুখ, দুঃখ-দুঃখ খেলা।
ভুলেও জেনেছে সে শিহরিত মুখর, মায়াবী প্রাণ
জেগে জেগে যাও,ভেসে ভেসে আঁকো প্রচুর অট্টহাসি।
শিরস্ত্রাণের মুগ্ধ আকাশে দেখা হোক উন্মাদ সাহস।
রক্তজঠরে ডালিমরঙা ঘোর তানপুরা শেখালো।
রঙিন বেহালা জানে না তাকে।
মাদকতা ছড়ায় শুধু ঝরে পড়া আসমানী রং। সবুজ স্বদেশ।
কার কোলে কার খোকা ঘুমোলো?
ঘুমের দেশে বর্গী এলো
মুখরা সময় কেডে় নিলো সে কোন প্রাচীণ মাটির টানে
ঘুমের ঘরে উছলে ওঠা আপন আহ্বানে।
স্বরতন্ত্র
শিশির জমে ওঠে। অস্পর্শ চৈত্রের রূপকথা জুডে়।
পরাজযে়র এ সৌধ গডে়নি কেউ। আহত শিল্পের ঘুমে যেমন আসে সে। অভ্যাগত । চেহারায় জৌলুস ছিল নাতো ! কিংবা ছিলো হয়তো পবিত্র মুখর এক হত্যাকাণ্ডের ধুন্ধুমার উৎসবে,মদ্যপ ঠোঁটে।
চলে যেত চাই রাজশ্রীয় অন্ধকারে…
দেখে নিয়েছি শুধু শাদা শাদা জন্ম-আকুতি
ভুলের মাস্তুলে লেপ্টে থাকা জীবনের ওম…।
এই হাটে বিকিযে়ছি শৈশব,দারুণ উৎপ্রেক্ষায় একাকী ধূসর আকাশ, বন্ধু-বিহবলতা। নষ্ট ভালো থাকা গুলো মাযে়র মুখের মতোন চিলতে আকাশ, করুণ।
ভুলে থাকা সময় সান্নিধ্যে পায়রাপ্রহরের গুনগুন শোনাবে কেউ?
ভুলে যেতে সেই দীর্ঘায়ু সাপের মুখ মনে পড়ে।
তবে হাঁটি? অচল ছায়াঘ্রানের চোখে রেখে স্থির দৃষ্টি।
কোন অপমেরুর ডাকনাম তোমার?
দুঃখ জাগানিয়া এই রোদ, সুবর্ণ জীবন্মৃত দুপুর নৈমিত্তিক…
ভালো লাগলো।