গন্তব্য
ওজন গলছে―কোন দিন থেকে তোমার সামনে আসছি―গোপন থাক।
ঘুম―কেউ আছ? নিবিড়তা বুঝি এই বিপাক পেল সাঁকো।
মধ্যে যারা থাকে তাদের তিনস্তর পোশাক―শরীর অথবা দেহান্তর খুঁজছে―আজ স্বপ্ন দেখা হলো না―ওসব মুক্তির জন্য সিনেপ্লাজা
কিছুই যে অনিবার্য নয় সেকথা গৌতম জেনে থাকবে―তবে এক পা এগোলে আমার স্তর কয়েক রাউন্ড দেবে যায়―তুমি এখনো চুপ! তুমি এখনো গৃহ পাওনি―আমি তো তোমাকে পেতে রেখেছি এই মহাদেশ―মনও হতে পারে!
অখ- লিঙ্গন পেতে হলে সারা দিন তুমি সারা দিনের সঙ্গে খেলা করবে―কাচদীর্ণ এই ধ্বনি আমাকে নিয়ে তোমার সঙ্গে বহুসব বলছে―
কীভাবে আমি একই গোলে রাজ্যপাট করছি―গোপন থাক―নিহিত থাক―একদিন মহাপয়ারের সুযোগ আসবে।
সংসার
কোথাও আমার নাম―বিনাশ।
কোথাও আমার নাম―অবিনাশ।
শেমিজ খুলছে ও, প্লাজো খুলছে সে―
ময়ূর খুবলে ব্যাখ্যা চলছে নখযশ।
তুমি―পৃথিবীর কোন রানওয়ে ধরে ঢুকে পড়লে এই বারবিকিউ পার্টিতে?
তারিফ
সিঁড়ি ওঠার শব্দে পদ ভেঙে পড়ে
আরও পা আরও কিছু ভোল্টেজ বয়ে
উপরের ঢেউয়ে হাত রাখে উভচর
চাইনি তেমন
হতে পারে
মেয়াদ ফুরিয়ে এলে ফুটো আরও ভালো ভালো
কড়া নজর
তলার বা তলানির পাশে কোমর কলোনি
উল্টো পড়ে উল্টে চোখ তোমাকে তোমার করে দ্যায়
এইবার ট্রেনে চড়ার ইচ্ছা ধরে
ঘুমের হয়ে কার সঙ্গে কাকে নিতে বিছনায় যায়
সুইস গেট খোলা
বললাম হাততালি
ড্রোন ক্যামেরায়
খিল্লিচিত্র
সাধুর থেকে পিনিক সাবধান
সাবধান থেকে চুম্বন
এ প্যারেডের কথক ভাঙ্গাভোর নিজেই
দৃঢ়কথা
ধড় ধরে ডাকছি―বর্ণনা ফুরোচ্ছে না
সূত্রপাতও
মেশিন খুলে রেখেছে
নাম যতক্ষণ শরীরজুড়ে―
সেতু আরও জিভ এগিয়ে হয়তো সান্ত¡না―
রক্তের নাটক অবাক যেন―
পরবাস করবে কলহ
আমার কত যে অফুরান
ডাকটিকিট মাত্র জানে―মার্গ কথা সব ডালে ফল ঝোলাবে
এই যে তোমার চারকোনা থাকা
মৌখিক চাষবাস―ভ্রম―আলোড়ন
যত তোমার বিহ্বলসাবান―স্নেহকুসুম
ডুবে যাক―জলসত্যে রফা হোক
―অন্তত মুঠো করে বলি―
ক্ষারে যেহেতু দেহ মজেছে
আমার-তোমার নামে মাখলুখ যথেষ্ট
প্রতিমপিছু
রেখে সাঁকো পেরিয়ে আজ
সম্ভার
তোমার সঙ্গে সেতার
কী পর্যন্ত বর্ধিত সুরওয়ালা জানে কিংবা রাজবল্লভ
কান লেপে নিবিড়
ছটফট দেয়
দুর্গমে মুদারা
এত ঘনিয়ে নাভি
তবু মধ্য চাই, আরও মধ্যমা
বিস্তারে থাকি
ছুঁয়ে উমা, সাক্ষাৎ নরম
এমন কান্তার পেয়ে
বিদিশা সংযোগ
চাই তো!
যেকোনো ব্রহ্মা- ফুরিয়ে
তুমি পাড়াগাঁ, একুশে চারু
জাপটে বুক―ধকধক―ঝালাফালা
খঞ্জনার সঙ্গে ঝুমকাপহর
আমরা মিলে এতিম ভুলে রচয়িতার পিছু।