হিংসা
একবার হিংসার কালিতে
সই করে দিলে,
সব হিংসা মেনে নিতে হয় ।
খাণ্ডবদাহন থেকে দাউদাউ অ্যামাজনবন ।
একবার হিংসার কালিতে
লিখলে কবিতা,
সব মিথ্যা মেনে নিতে হয় ।
কবি , তুমি পারবে বলতে
কতটুকু মর্যাদা পেরোলে
কবিতায় কবিতা থাকে না ?
হয়ে ওঠে আত্মবিজ্ঞাপন ?
আলো
আমাদের দৃষ্টি নেই। যা দেখি তা
প্রকৃতিরই চোখ ।
আমরা তাকে বলেছি বিজ্ঞান ।
আমাদের সংস্কার গেছে। তাই,
সংস্কৃতিও ক্রমে পলাতক ।
আমরা প্রকৃতি নিয়ে জুয়া খেলি ।
রূপ কিনি, তারপর অর্থশাস্ত্রমতে
বেচি সেই রূপের বরাত ।
আমাদের ভাড়াটে তাত্ত্বিক
তাকে বলে , নবরূপকথা ।
অন্ধ লেখে চোরের বিজয় ।
সূর্য হেসে ওঠে কাছে-দূরে ।
পাখিরা বাঁচার রৌদ্র ঠোঁটে কুলকুচি করে ।
শোষিত জঙ্গলে বাঘ আজো খোঁজে বাঘিনীর ঘ্রাণ ।
মহাসমুদ্রের তলদেশে না-বোঝা সে
মহাসময়ের
স্রোত বয়।
ঈশ্বর জানেন শুধু ,
সভ্যতা উচ্ছিষ্ট হয়;
প্রকৃতি কখনো কারো
উচ্ছিষ্ট হবে না।
ক্লান্তি
বাঁচারও ক্লান্তি আছে । কারো কারো
খুব বেশিদিন বাঁচতে ইচ্ছে করে না।
শরীরে অসুখ নিয়ে তো নয়ই নয় ।
লেখারও ক্লান্তি আছে । কারো কারো
খুব বেশিদিন লিখতে ইচ্ছে করে না ।
শব্দের অসুখ নিয়ে তো নয়ই নয় ।
মানুষ পাল্টে যাচ্ছে দেখি । যা বলে,
তার কিছুই বাঁচে না । মনে হয়,
সভ্যতারও ক্লান্তি আছে ।
মানুষকে কি এই সভ্যতাই পাল্টে নিয়েছে ?
ঘুমোবার আগে পোশাক পাল্টে নেবার মত ?