Rxeb my›`i
ঘুমে কিংবা স্বপ্নের ভিতর মনে হচ্ছিলো পতন হয়েছে
কারা টেনে তুলবে? অপেক্ষায়;
চিরদিনের যে ব্যর্থ উপমা তাকে পাশ কাটিয়ে যায়, এসব ভেবে
একটি চিত্র দাঁড়িয়ে যাবে তাই বিক্ষিপ্ত তুলেছিলো তুলি,
বাইরে তাকিয়ে ক্যানভাসে রঙ ছিটিয়ে গেছে সে।
আসলে কিছুই ছিলো না। ছিলো কল্পনা। ওদিকে কোন মুখরা রমণী
চিৎকার করে করে মাঠ কাঁপিয়েছে। সেদিকে তার ছিলো না কোন ইচ্ছে
জুটে গিয়েছিলো জোটে, নয়তো ভোটে সে পায় শূন্য খাতা।
জীবনের এই সময়গুলো উপভোগ্য বটে, কিন্তু সুন্দর মোটেও না;
কেউ যদি বলে- ডানে বামে দেখেও পায় না কোন যোগ্য উপমা।
তবুও জগৎ সুন্দরের হাতে এক কাপ চা এসে গেলে কবি বলে
বাহ্! এই তো জীবন! সুন্দর।
মুখরা রমণী হাসে, সে তুলি ফেলে দাঁড়ায়, বাইরে থেকে ঘরে
ফিরে আসে আলো। মুগ্ধ হয়ে বলে, এই তো জীবন! সুন্দর!
ধুলো
নোংরা রোদ মুখের দিকে তাকাচ্ছে
প্রচুর ধুলো আর কাঠের মুখ বসে আছে
হিমায়িত কাঁচের ওপর!
তারা একটি নতুন ধারণার জন্ম দিচ্ছে
এবং একটি দৃশ্যের।
কঙ্কালের ভিতর দিয়ে ধুলো ছুটে চলছে
এই ধুলোময় পৃথিবী তোমারই সৃষ্টি
এভাবে থেকেও তুমি মঞ্চে অনেক তালি পেয়েছ
অবশেষে তারা তোমার কাছেও এসেছে।
ভেবেছ যত যাই হোক- এই ধুলোমাখা পৃথিবী
ছোঁবে না তোমাকে
ছুটে যাবে দ্রুত কোন গ্রহ থেকে গ্রহে।
তুমি দৌড়াচ্ছ, ধুলোগুলোও তোমাকে করছে অনুসরণ
এড়িয়ে যেতে চাইছো, কিন্তু এড়ানোর কোন উপায়ও নেই।
আব্দুর রাজ্জাক –কবি।