অচেনা সন্ধ্যা
মেঘ ছেয়েছে ঝিলের আকাশে
পাখিরা উড়ে যাচ্ছে দূর পাহাড় ডিঙিয়ে—
গন্তব্যে যার যার, গা এলিয়ে প্রশান্তির শ্বাস ফেলতে
খড়কুটোর প্রাসাদে
ভারী কাঁধ নিয়ে ফিরছি এদিক-ওদিক
বিস্তৃত ঘনবসতির যে-দরোজাতেই যাই
অচেনা আমি, আমার কোথাও যাবার নাই
এই অচেনা সন্ধ্যায় কোথায় মুখ গুঁজব
আমি অভাগা ভালোবাসাহীন?
চিঠি
আমার মনের ডাকঘরে
জানি না রোজ কত চিঠি জমা পড়ে
যে-ঠিকানাতেই যাক-না কেন চিঠি
আমার সব চিঠি তোমারই নামে
গোপন কথা
তুমি যখন আসবে, পাবে ছন্নছাড়া আমাকে
আমার একাকিত্বে জল্পনা-কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।
ঘর সাজানোর খুব ইচ্ছে তোমার
কিন্তু আমার ঘরে তো বইপত্তর ছাড়া কিছুই নেই
এই বইগুলো না বড় জুলুমবাজ— আমাকে শিখিয়েছে তাদের মাঝে থাকা এক গোপন তত্ত্ব—
যে-তত্ত্ব কতল করেছে আমার দিল আমার চিত্ত :
মানুষ কখনোই পায় না আনন্দময় পরিণতির সংবাদ
না জীবন হয় কখনো সুখময়
জন এলিয়া (১৯৩১– ২০০২) হলেন বিশিষ্ট পাক-ভারতীয় উর্দু কবি ও দার্শনিক। তাঁর কবিতায় ‘প্রেম ও বিরহের অনিঃশেষ দুঃখ’ বেশি প্রাধান্য পায়। এছাড়াও কৃষক-শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। দর্শনের ক্ষেত্রে জন এলিয়া ছিলেন একজন নৈরাশ্যবাদী, তাঁর কবিতায় সেই ছায়া পুরাপুরি পাওয়া যায়।
হৃদয়গ্রাহী অনুবাদ।