তুমি বরং ফেরারী হও
কত তোষামোদি। কত অভিবাদন। কত শত করতালি আর লাল সেলাম।
আহা! বোধের শিরায় বৃষ্টি নামুক। কাল আবার ভুলে যেওনা যেন।
প্রয়োজন – একটি রাজনৈতিক শব্দ আর সময়ই তো তোমার আমার সবচেয়ে বড় শিক্ষক।
জীবাণুযুদ্ধে অবনত মুখগুলো হঠাৎ প্রান খুলে হেসে উঠলে
কেউ আবার মাস্কের দোহাই দিও না।
তোমার শ্রেণি সংগ্রামের অটল সংকল্প ‘মামুলি না’।
ভেবোনা শান্তির পায়রা উড়িয়ে দিয়ে পকেটে রিভলবার রেখেছি
বলেই যাপিত দিন শেষে ঘরে ফিরবে না ভালবাসা।
ইতিহাস বদলাবে? একবার শুধু নিজের দিকে তাকাও।
মনে রেখ। রুখে দাঁড়ালে পেছনে আর ফিরে যাওয়া যায় না।
সাগর জল তোমার হিতোপদেশের বইগুলো
ভেসে নিলে, জেনো;
হাত ফস্কে রাজদন্ড পড়ে গেলে পেন্ডামিকের দোহাই
অভিবাসী শব্দটা হয়ে যাবে ডিকশনারীতে সবচেয়ে অসহায়।
তুমি জেনে যাবে একদিন,
সভ্যতার দ্বন্ধ একটা জিইয়ে রাখা রাজহাঁস; সোনার ডিম দেয়া ভোট ব্যাংক।
সেদিন,
পুর্বপুরুষের বিশ্বাসে ভর করা
ম্যাকেয়াভেলিরা কিভাবে টলে ওঠে টাইটানিকের মত, দেখে নিও।
এই যে প্রতিদিনের সব প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া বিবৃতি।
এত এত পরিসংখ্যান।
আসলে তোমার আমার মগজে ঢুকে দেয়া ডায়াজিপাম।
জান তো,
সূর্যের আলোয় সোনার ডিম গলে না, রক্ত গলে অক্সিজেন হয়ে লাল গোলাপ ফোটায়
শ্রেণিসংগ্রাম।
আহা! সময়ের খেরোখাতা বদলে গেলে
স্বপ্নের ঝাপি বন্ধ করে দেখো;
জানালার ওপাশের পৃথিবীটা স্মার্ট ফোনে বন্ধি।
তবুও।
তোমার আমার গলার স্বরের তারতম্যে বদলে যাওয়া অর্থ;
গুগল এসিস্ট্যান্ট বুঝবে, বল?
মনে পড়ে? বাউন্ডুলেপনা।
তোমার বেহাত হওয়া ‘বিপ্লব’।
তুমি বরং ফেরারী হও, সমাজতন্ত্র ঠিকই লুফে নিবে
লাভের এই বাজার অর্থনীতি।
অবদমন বিষয়ক
ইট পাথরের জঞ্জালে প্রজাপতিরা আর ফিরলো না ৷
তোমার না ফেরার প্রত্তয়ে
বাবুই তার বাসা বুনানো ছেড়ে দিলে
ঝিঁঝিঁপোকার ডাক থেমে গেল।
তুমি আমি মুখোমুখি হলে ঈশানকোণে মেঘ জমলো,
বজ্রবৃষ্টি আর ঝড়ে ছিন্ন হল খড়কুটোর ঘর
প্রজাপতিরা আর ফিরলো না সে ঘরে।
কৃত্রিম আলোয় শহরের অলিগলি জ্বলে উঠলে
বিষন্নতা ছড়িয়ে দিয়ে
জোনাকিরা তাদের আলো নিভিয়ে দিল।
অদ্ভুত আঁধার নেমে এলে
ছোপ ছোপ কালো দাগ
মনের ভীতর জ্বল জ্বল করে জ্বলে উঠলো।
গুমোট অন্ধকারের আয়নায়
মুখোমুখি আমি আর নিঃসঙ্গতা
আর শূন্য সে ঘরে অবদমনের দেয়াল।
সাগর জলের বিষন্নতায়
উলোট পালোট ঝড় বয়ে গেল
গৃহত্যাগী জোছনায়।
নিঃসঙ্গতার পথটি দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘতর হলো,
ঘাসফড়িংয়ের গল্পগুলো
বুকে নিয়ে বিবর্ণ হল সবুজ ঘাস,
আর নিঃসঙ্গতার সে পথ ধরে
ফিরলোনা প্রেয়সীর বুনো হাস।
অবদমনের শীতল স্রোত বয়ে গেল
মনের অতল বিতল,
অহমের কালো জাল
ঢেকে দিল ভালবাসার আনন্দলোক।
তারও বছর চারেক পরে
যখন তুমি আর আমি
আবার মুখোমুখি
অহমের জাল ছিড়ে,
অস্বীকারের স্বীকারোক্তি দিয়ে বললেনা
এইতো এসেছি আমি
প্রজাপতি আর বাবুই পাখিকে নিয়ে,
স্বপ্নের ঘর বুনতে।
আকিঁয়ে
এই যে তুমি
কত সুন্দর আঁকো
পুরানো জিন্স, নীল চোখ
বহমান নদী, পাহাড় পর্বত,
মানবতাও আঁকো সেমিনারে
সভায় আর ভাষনে দেশ আঁকো
প্রেমিকার আবেগ, গাছপালা
ভালাবাসা আঁকো কত যত্নে
কথার ফুল ফুটাও কত
একান্তে প্রেমিকার ঠোঁটে
কর্মশালায়, প্রেস কনফারেন্সে
এত কিছু এঁকে যাও অবলীলায়
একবার তুমি নিজেকে আঁকো
দেখি তোমার স্বরুপ।