স্বপ্ন
ঘন জোনাকী- জ্বলা সন্ধ্যাতারার বুকে
আমি হাঁটি , হেঁটে বেড়াই ।
হাত রাখি মেঘের কোলে
হাত ছুঁয়ে যায় বেগুনি আলো জ্বলা হাওড়া ব্রীজে ..
টের পাই হুইশেল আওয়াজ;
অবিবেকী হাওয়া ছড়ায় শব্দ,
শব্দ গুঁড়ো হয়ে মেশে শূন্যে ..
সন্ধ্যাতারা কেঁপে ওঠে
আমার পা টলে যায় ।
স্বপ্ন দুটো জোড়া লাগে না, ট্রেন
লাইন ধরে গ্রাম-গঞ্জ পেরিয়ে ছোটে ,
না..ট্রেনলাইন মেলে না বিন্দুতে ;
ওরা চিরকাল ছোটে পাশাপাশি
সমান্তরালে ।
স্বপ্নগুলো মন ভরা শূন্যতা নিয়ে
ঘুমিয়ে থাকে,
বুকের মধ্যে লুকোনো
অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো ॥
বসন্ত বনের পরিযায়ী
পরিযায়ী শব্দের মানে খুঁজতে খুঁজতে
আমি হারিয়ে যাই বসন্ত বনে।
বসন্ত কবে আসবে জানি না
দোলে দোদুল রং এর খেলা খেলবো না,
এই বসন্তে আমি ঘুমিয়ে কাটাব ।
মেঘেদের এত কলরব আমার ভালো লাগে না
আমি নিশ্চুপ জলের ধারে বসে পা দোলাব ।
বিদগ্ধ পোকাদের হা ক্লান্ত নাটক
আমাকে ছায়ার মতো
ঘুম পাড়িয়ে দেয়।
আমন- আশ্বিন- বৈশাখের ঠাকুর পূজো
শিউলি গন্ধ শরৎ
সব বিস্মৃত অন্ধকার মেখে
ছুটে বেড়াচ্ছে আলোর খোঁজে ..
দুহাত বাড়িয়ে পূবের আলো ধরতে গিয়ে দেখি
কূটকচালি কাল্পনিক সংলাপ
আস্ত একটা সাপ
আপাত বাস্তবের বিছানায়।
আমি বসন্ত বনে পরিযায়ী খুঁজি ।।
মরীচিকা দর্শন
উট চলেছে সারি সারি
বাবলার বন পেরিয়ে
কাঁটা গাছ চিবোতে চিবোতে ।
কাঁটা কারও খাদ্য হয়,উটকে দেখে জেনেছি ।
উপেক্ষার বালিতে মুখ গুঁজে
জীবনের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রেখেছি
মরীচিকা যুদ্ধ ।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে অন্ধকার
জীবনের নিঃশ্বাস তবু বয়ে চলে ।
তোমার সঙ্গে দেখা যদি মরুভূমিতে
খুঁজে নেবো খেজুর বন,রিনিঝিনি নূপুরধ্বনি ।
ভুলেও মারাবো না
কষ্ট বেঁধান একতারা পথ
আর মরীচিকা ধ্বনি ।।