সার্বজনীন বগি
ভুল ছিল এটা – আমাদের জীবনে কোনো ভুল নেই!
জীবনকে ভুলের জন্য কাঠগড়ায় তুললে, জন্মই ভুল,
হঠাৎ ভ্রমণে যে বগিতে আমরা বসেছিলাম – সে বগিটাও যেমন আকষ্মিক, ঠ বগির সি ৩৪ ডব্লিউ ৩৫ সেটাও আকষ্মিক!
সময়ের গতিতে ঘড়ির কাঁটা দৌড়ানোর বন্দোবস্ত করেছে বিজ্ঞান,
ঠোঁটের দুষ্টুমি কীসের বন্দোবস্ত জানো?
প্রচন্ড ঘাম মুছে ট্রেনের জানালায় ছুঁড়ে ফেলা-
টিস্যু কাগজের মতো ফেলে দেয়া নিয়তির নাম মানুষ!
অথচ এই মানুষ কতো রকম মানুষ!
পৃথিবী সার্বজনীন বগি, সে ছুটে চলে- অজানা গন্তব্যে।
আর আমাদের টিকেট কেটে চলতে হয়!
সত্যের মতো মিথ্যা
পূর্ণিমার চাঁদ হাসে- আলো ছড়িয়ে ডুবে যায় অন্ধকারে
সুখের পাহাড় স্পর্শ করতে ছুটে চলা আদ্যোপান্ত পথ
অনবরত দৌড়াই; ক্লান্তি মুছে – মিথ্যে যৌবন জাগাই শরীরে!
আমাদের প্রণয় জগৎখ্যাত হবে- সেটাও কেউ না কেউ বিশ্বাস করবে!
কিন্তু এটা তো সত্য; সকলের বিশ্বস্ত সত্যটা সত্য নয়!
আমাদের প্রেমের ইতিহাসে পাঠ নেবে প্রেমিক- প্রেমিকা
শিক্ষা নেবে ইতিহাসের ভুল ও শুদ্ধতা!
বাধ্য হয়ে হেসে উঠি- মিথ্যা হাসি!
আমাদের চোখে চোখ, ঠোঁটে ঠোঁট-
আর শক্ত বন্ধনে হাতে হাত!
প্রতিশ্রুতিগুলো ছিল সেদিন- মৎসশিকারীর বর্শির টোপ!
কি এমন সত্য জানো? বিশ্বাস করো? কতটুকু সত্য জানে এ পৃথিবী?
তুমি কি সত্যি বলেছো?
হ্যাঁ, তুমি সত্যের মতো করে মিথ্যা বলেছো!
মানুষ মেশিন
মানবিক আওয়াজ কেউ শুনতে চাই না এখন
ভালোবাসা, প্রেম-কামানুভূতি, শিশ্ন- যোণি
পদপিষ্ট করেছে দানবীয় সমাজ!
পণ্যমূল্যের তালিকায় আজব আঁচড়!
মূল্যহীন মানুষ, পণ্যমূল্য নির্ধারণে স্থির!
প্রেম, কাম, দেশদরদ, সহানুভূতি-
আত্ম চিৎকারে হেরে যায় হঠাৎ
হেসে ওঠে মানুষ মেশিন!
অর্থবৃত্তায়ণ- তোমাকে নষ্ট করেছে মানুষ!
আবেক, অনুভূতি, ভালোবাসা, প্রেম-কাম
মেশিনে তুলি- বেরিয়ে আসে টাকা-
প্রচন্ড সাগ্রহে খুশি হয় সমাজ- কারণ আমরা মানুষ মেশিন!