এক.
তৃপ্তি বলতে যতটুকু বোঝায়
অতীতে অতীত খুঁজে
ওড়না পরে না
মেঘ।
‘বেসরম
বেহায়া
নির্লজ্জা…’ অপবিশেষণ বাণে ঝুলে গ্যাছে কান!
কানের কাছে ঠোঁট, ঠোঁটের কাছে কান—
ঠোঁট-কানে মিল-অমিল, মতবিরোধ,
সমালোচনায়, পরালোচনায় ব্যস্ত সুশীল!
মেঘ জানে—
ওর যতটুকু নেই, ততটুকুই সান্ত্বনা;
যতটুকু থাকে ততটুকুই আত্মপ্রসাদ।
দুই.
বিরামচিহ্নহীন সংলাপ
জীবনে ব্যাকরণ আছে— থাকলেও
বুভুক্ষুর আবেগে বিরামচিহ্ন নেই!
ভেবে-বুঝে বলারও দরকার নেই—
‘ভাত চাই’-প্রত্যয়টি সামনেই থাকে।
‘বেঁচে থাকার আজন্ম লড়াইয়ে
টিকে থাকাই যখন পাঠ্যসূচি!’—
সাহিত্য কি কাগজের বুকেই কারুকাজ;
গরীবের আবেগ?
তিন.
সন্ধ্যা নামে— রাত হয়।
আঁধারের গন্তব্য? একগাল হাসিতে শুকতারা বলে—
‘দুখের সাথে সুখের দুরত্ব যতটুকু, ততটুকুই জীবন!’