অসুখ পর্ব
এক.
আলোর উৎপাত থেকে তীব্র কম্পন বোধ হয়
গদি মঞ্চ ও মাইকের পাশে
কলুর বলদ হাঁটে, এবং হাঁটে
স্বপ্ন, সাধনা শব্দের রস গড়িয়ে যায়
স্রোত কিংবা স্রোতের মতো
আর বিদ্যুৎ সংযোগ হয় মেঘে ও মাটিতে
বোধিগাছ আর কত দূর
সামান্য সূক্ষ্ম চারা আদৌ কি বৃক্ষ হয়ে ওঠে
শেকড় জড়িয়ে যায়
শ্বাস থেকে শ্বাসে ছড়িয়ে যায় অসুখ সংকেত
দুই.
ভাঙা আয়নার দিকে বারবার হেঁটে আসে
নিজস্ব ছায়ার মিছিল
সূর্যমুখী বীজ, তেল ছড়িয়ে যায় গদি ও মেঝেতে
সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়ায়
শীতকালীন উষ্ণতা বিনিময়… শব বা উৎসব
রোদ ওঠে, রঙ
আলো থেকে খসে পড়ে অক্ষর
অস্থির আয়োজনে কুড়িয়ে নিই
বিস্ময়, অসুখের ছাই
তিন.
কত বার ভেঙে ভেঙে সন্ধে
উঁবু হয়ে আছে কাঠের সাঁকোর নিচে
স্নিগ্ধ পারাপারে মরচে আছে
আছে শুষ্ক ত্বক কোনো আপেল
ক্ষতের পাশে কাঠপোকা
দীর্ঘ দুপুরের ভেতর হেঁটে আসছে
কেউ
চোখের ভুলগুলো জুড়ে নিলেও
বাঁশবনে ডেকে ওঠে শেয়াল
নীলাদ্রি দেব-কোচবিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। পেশায় শিক্ষক। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ– ধুলো ঝাড়ছি LIVE, জেব্রাক্রসিং ও দ্বিতীয় জন্মের কবিতা, এবং নাব্যতা। সহসম্পাদিত পত্রিকা- ইন্দ্রায়ুধ, বিরক্তিকর।